কেবল শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যেও ওমেগা থ্রি-র প্রয়োজন।
অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়াই থেকে চোখ-হাড়ের যত্ন, শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি ছাড়া সবই প্রায় অসম্পূর্ণ। শরীরের ভিতরে নানা কাজকর্ম চালাতে যে সব পলিস্যাচুরেটে়ড ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই ওমেগা থ্রি। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি-র চাহিদা মেটাতে খাওয়ার দিকে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। স্যামন, টুনা-সহ নানা সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে থাকে। তা ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স বীজেও এই ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল মাত্রায় থাকে। ওমেগা থ্রি-র চাহিদা মেটাতে অনেকেই আবার ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুলও খেয়ে থাকেন।
অন্যান্য ফ্যাটের মতো শরীর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না, তাই এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড খাবারদাবার বা ক্যাপসুল থেকেই পাওয়া সম্ভব। কেবল শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যেও ওমেগা থ্রি-র প্রয়োজন।
তবে যাঁরা এই প্রকার ক্যাপসুল খাচ্ছেন, তাঁদের কিন্তু মাত্রাটাও মাথায় রাখতে হবে। শরীরে ওমেগা থ্রি-র চাহিদা খুবই কম। বেশি মাত্রায় এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে গেলে তা আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের মতে, ২৫০ মিলিগ্রাম থেকে ২ গ্রামের বেশি ডোজের ওমেগা থ্রি ক্যাপসুল খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সুস্থ ব্যক্তির জন্য দিনে ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল খাওয়াই যথেষ্ট। তবে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উচ্চ ডোজের ওমেগা থ্রি ক্যাপসুল খেতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।
শরীরে বেশি মাত্রায় ওমেগা থ্রি জমা হলে কি হয়?
শরীরে মাত্রাতিক্ত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জমা হলে, শরীর নিজেই সে কথা জানান দেয়। ক্রমাগত আঁশটে গন্ধযুক্ত ঢেকুর ওঠা ভাল লক্ষণ নয়। এই ধরনের উপসর্গ শরীরে বেশি মাত্রায় ওমেগা থ্রি জমা পড়ার ইঙ্গিত। শরীরে এই অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তে শর্কার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, অনেক ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।