—প্রতীকী ছবি।
ঘরে ঘরে এখন কোলেস্টেরলের রোগী। এক বার এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই খাওয়াদাওয়ায় এসে যায় হাজার রকমের বিধিনিষেধ। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুয়ায়ী, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে স্নেহপদার্থযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল, নইলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই একটা রোগের হাত ধরে স্থূলতা, ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখের মতো একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও নজর রাখতে হবে বইকি।
ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় বেগনি রঙের সব্জি রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ। শুধু তা-ই বলে নয়, কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, সে দিকেও খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ শাকসব্জি, মরসুমি ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি। তবে যখন-তখন খেলে হবে না। খেতে হবে সময়মতো। জেনে নিন, কোলেস্টেরল রোগীর ডায়েট ঠিক কেমন হওয়া উচিত।
১) রোজ নিয়ম করে ডালজাতীয় শস্য খেতে হবে। বিভিন্ন রকম ডাল, রাজমা, কাবলি ছোলা, বিন্স— ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রোজকার খাবারের রাখুন।
২) ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় বেগনি রঙের সব্জি রাখুন। বেগুন বা বেগনি বাঁধাকপিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এই সব্জিতে থাকা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল)।
৩) কাঠবাদাম, আখরোট নিয়মিত ডায়েটে রাখুন। এতে থাকা ভাল ফ্যাট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে রোজকার ডায়েটে ওট্স রাখতেই পারেন। এতে ভরপুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই ‘সলিউব্ল ফাইবার’ খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়।
৫) মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই রোজ মাংসের বদলে রুই, কাতলা, পমফ্রেটের মতো তেলযুক্ত মাছ নিয়ম করে খেতে হবে।