Fatty Liver

মদ্যপান না করলেও শরীরে হতে পারে ফ্যাটি লিভার! কোন ৫ উপসর্গ দেখে সচেতন হবেন?

মদ্যপান ছাড়াও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। ডায়াবিটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে এমনটা হয়। কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:০৪
Share:

মেটাবলিক সিনড্রোম যাঁদের রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারে ভোগার প্রবণতা বেশি। ছবি: শাটারস্টক।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাপনে বেশ কিছু বদল এসেছে। যার হাত ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন অসুখও। দিনের পর দিন রেস্তরাঁয় খাওয়া, ধূমপান, শরীরচর্চায় অনীহা— এই সব বদ অভ্যাসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ। এমনই একটি অসুখ হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কী ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ? কী কী সমস্যা দেখা যায়? নিরাময়ের রাস্তা কী?

Advertisement

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা বিশেষ কিছু ওষুধ খেলে লিভারে ফ্যাটের সঞ্চয় হয়। তাকে বলা হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কিন্তু যখন এই দুই কারণ ছাড়াই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেই রোগকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

অ্যালকোহল বা ড্রাগের উপস্থিতি না থাকলেও কী ভাবে শরীরে বাসা বাঁধে এই রোগ?

Advertisement

একাধিক কারণ রয়েছে, যেগুলি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে। তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবিটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল। একসঙ্গে এগুলিকে মেটাবলিক সিনড্রোমও বলা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, মেটাবলিক সিনড্রোম যাঁদের রয়েছে, তাঁদের মধ্যে এই রোগ ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি দেখা যায়।

কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?

১) অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়লে সচেতন হতে হবে। শারীরিক দুর্বলতা বলে এড়িয়ে গেলে কিন্তু সমস্যা ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ ভাল করে বেরোতে পারে না।

২) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে তার হাত ধরে ফ্যাটি লিভার হানা দেয় শরীরে। যদি খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে, তা হলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না।

৩) শরীরে মেদ জমছে, আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এমন হলে কিন্তু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে।

৪) ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে সচেতন হন।

৫) ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের খিদেও বেড়ে যায়। এমন সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement