পেঁয়াজ, অ্যাভোকাডো, বেগুন, পামের মতো স্বাস্থ্যকর সব্জি দিয়েই অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে এই ভেষজ গর্ভনিরোধক। ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ চাইলেই একে অপরের সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হতে পারেন। তবে একটি বয়সের পর থেকে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। সমীক্ষা বলছে, বয়স ৬০ পেরোতেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতার প্রতি একটা অনীহা চলে আসে। সেই কথা মাথায় রেখেই ৬৫-এর বেশি বয়সিদের মধ্যে যৌনতা নিয়ে উৎসাহের হার বৃদ্ধি করতেই ব্রিটেনে আনা হয়েছে ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি কন্ডোম।
পেঁয়াজ, অ্যাভোকাডো, বেগুন, পামের মতো স্বাস্থ্যকর সব্জি দিয়েই অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে এই ভেষজ গর্ভনিরোধক। যৌনতা নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে কিছুটা ছুৎমার্গ দেখা যায়। শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়া খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। বেশি বয়সেও যাতে যৌনতাকে সমান ভাবে উপভোগ করা যায় এবং পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকা যায়, সেই কারণেই এই নয়া আবিষ্কার। ব্রিটেনে ৬৫ বছর বয়সিদের মধ্যে যৌনরোগের বাড়বাড়ন্তও চোখে পড়ছিল। তাই এই অভিনব কন্ডম তৈরির ভাবনা। এই নিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারও চলছে জোর কদমে। হর্টিকালচারের সঙ্গে মিলিয়ে এই প্রচারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হর্নিকালচার’!
৬০ পেরিয়ে গিয়েছে এমন প্রায় ২,০০০ জন ব্রিটেনবাসীর মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়ে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অর্ধেক মানুষই পরস্পরের সঙ্গে প্রকাশ্যে যৌনতা বা যৌনরোগ নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করছেন। প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত লঘু চোখে দেখছেন। আর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কথা বলতেই অনীহা প্রকাশ করেছেন। গবেষণায় আরও জানাচ্ছে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষ এখনও যৌনতায় বিশ্বাস করেন।
গবেষণার ফলাফল এখানেই শেষ নয়। ৬৫-এর বেশি বয়সিদের মধ্যে ১৬ শতাংশ গত এক বছরে নিজের বা তাঁদের সঙ্গীর জন্য ‘সেক্স টয়’ কিনেছেন। তবে এঁদের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে জানা গিয়েছে। ফলে ‘হর্নিকালচার’-এর উদ্যোগে তৈরি এই ভেষজ স্বাদের কন্ডোম অত্যন্ত কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।