পায়ের পেশিতে টান ধরলে কোন টোটকায় উপকার পাবেন?
হঠাৎ হঠাৎ হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরে? সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নামার সময় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হতে হয় অনেককে। কখনও বা হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলেও কোমরের পেশীতেও টান ধরে। আদতে এই টান ধরার নেপথ্যে রয়েছে শরীরে জলের ঘাটতি।
চিকিৎসকদের মতে, গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায় বলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই ঘাটতি পড়ে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়। শীতে আবার জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অনেকে। এতেও শিরায় টান ধরা বা ক্রাম্পের প্রবণতা বাড়ে। পেশির কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত জলের ঘাটতি কমাতে পারলেই আরাম মেলে। তবে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে যাওয়া, কখনও টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের স্বল্পতাও পেশিতে টানের কারণ।
হঠাৎ যেখানে সেখানে হানা দেওয়া এই সমস্যাকে মোকাবিলা করবেন কোন উপায়ে?
১) হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে মালিশ করতে পারেন। এমন ভাবে মালিশ করতে হবে যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
প্রতীকী ছবি
২) পায়ে ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে মালিশের পর জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই ভাল।
৩) হট ব্যাগ টানধরা জায়গায় রাখুন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। ফের দশ সেকেন্ড পর হট ব্যাগ। এই ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক চালিয়ে যান আরাম না মেলা অবধি।
৪) হলুদ গুঁড়ো ও ফটকিরি একসঙ্গে বেটে নিয়ে সেই স্থানে টান লেগেঠে সেখানে লাগাতে পারেন। মালিশ করার প্রয়োজন নেই। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।