জ্বরঠোসার ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে জ্বর, সর্দিকাশি বেশি হয় ঠিকই। কিন্তু সারা বছরই এ ধরনের সমস্যা লেগেই আছে। কিন্তু জ্বর হলেই অনেকের ঠোঁটের কোণে ঘা হয়। মুখের ভিতর জ্বরঠোসা ভরে যায়। অনেক সময় সেগুলি ফেটেও যায়। সেটা আরও বেশি অস্বস্তি আর যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। এমনিতে কিছু দিন অপেক্ষা করলে এই ঘা কমে যায়। কিন্তু সেই অপেক্ষার পর্ব বিশেষ সুখকর নয়। তাই এই বিড়ম্বনা থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পেতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া কৌশল।
অ্যালো ভেরা
জ্বরঠোসা হলে অ্যালো ভেরা কিন্তু সঞ্জীবনীর মতো কাজ করে। এমনিতেই যে কোনও ক্ষত সারাতে অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। অল্প পরিমাণ অ্যালো ভেরা ক্ষতের উপর লাগিয়ে নিন। দ্রুত কমে আসবে ক্ষত। কমবে জ্বালা-যন্ত্রণাও।
ভিনিগার
বাড়িতে অ্যাপল সিডার ভিনিগার আছে? তা হলে জ্বরঠোসা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা হলে নরম কাপড়ে এই ভিনিগাকে ভিজিয়ে ঠোঁটের ঘায়ে লাগান। অল্প সময়েই প্রদাহ কমে যাবে। ভিনিগারে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।
মধু
শুধু সর্দিকাশি নয়, মধু কিন্তু জ্বরঠোসা সারাতেও দারুণ উপকারী। জ্বরঠোসা হলে বেশ কষ্ট হয়। যন্ত্রণা হয়। ওষুধ খেয়ে সারতে চায় না। তখন কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন মধুর উপরে। মধুতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান, ক্ষত সারায় দ্রুত।
রসুন
জ্বরঠোসা কমানোর আরও একটি ঘরোয়া টোটকা হল রসুন। মুখের ঘায়ে রসুনের রস লাগাতে পারেন। অল্প কয়েক দিনেই ঘা সেরে যাবে। প্রদাহও কমবে। রসুন সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।