মৌনীয় এমন চেহারার রহস্য কী? সারা দিন তিনি কী কী খান? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সমাজমাধ্যমে নানা ভঙ্গিমায় তাঁর নানা ছবি। দীপ্তিময় ত্বক। নির্মেদ শরীর। পেট থেকে কোমর— সবই যেন নিখুঁত। বাঙালি বলিউড অভিনেত্রী মৌনী রায়ের ফিটনেস নিয়ে তাই আলোচনা অনুরাগীমহলে। কী ভাবে এমন তন্বী কোমর পাওয়া যায়, তা নিয়ে চর্চা থাকে ভক্তদের।
তবে মৌনীর ডায়েট শুনলে কিন্তু অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে পারে। একটি সাক্ষাৎকারে বাঙালি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কখনও কখনও নলেন গুড়ের সন্দেশও খেয়ে নেন তিনি। পাতে থাকে ভাত, ডাল, তরকারিও।
অনেকেই মনে করেন, ওজন ঝরাতে গেলে বাদ দিতে হবে পছন্দের খাবার। ভাত তো খাওয়াই চলবে না। অথচ মৌনী থেকে শিল্পা শেট্টির মতো ফিট তারকারা কিন্তু ভাত, ডাল খান বলে নিজেই জানাচ্ছেন।
মৌনী একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন দিনভর তিনি কী কী খান। তবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর অভিনেত্রীর কথায় তিনি সে ভাবে ডায়েট করেন না। তবে যখন তাঁর মনে হয় মেদ ঝরাতে হবে, তখন কিছু দিন কড়া ডায়েট করেন। বাদ দেন কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার।
অভিনেত্রীর সকাল শুরু হয় হলুদ জল দিয়ে। তার আধ ঘণ্টা পরে ঈষদুষ্ণ জলে দারচিনি মিশিয়ে খান। তার পরেই মন দেন যোগব্যায়ামে। এই নিয়মে নড়চড় নেই। জল খাবারে নায়িকার পছন্দ চিঁড়ের পোলাও, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগজাতীয় খাবার। আর তার পর এক কাপ কফি। মৌনী জানান, কফিতে তাঁর বেশ নেশা। আগে তিন কাপ খেতেন। তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কমিয়ে এক কাপে এনেছেন। বাঙালি কন্যে দুপুরবেলায় বাঙালি খাবার খান। ভাত, ডাল, তরকারি থাকে পাতে। তার পর যখন আবার খিদে পায়, তখন খান ড্রাই ফ্রুট্স।
রাতের খাবারের আগে আবার খিদে পেলে মোটেই সংযত করেন না নিজেকে। বরং ভেলপুরি খুবই পছন্দ তাঁর। পেঁয়াজ, চাটনি, শসা দিয়ে দিব্যি মুড়ি খান তিনি। মাঝমধ্যে নুড্লসও খেয়ে নেন। বাঙালি বলেই সন্দেশের প্রতি আলাদা ভালবাসা তাঁর। মাঝেমধ্যে প্রিয় নলেন গুড়ের সন্দেশ তাঁর চাই।
এত কিছু খেলে কি রোগা হওয়া যায়? প্রশ্ন করতেই পারেন কেউ কেউ। তারকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদ চান্না অবশ্য তাঁর সমাজমাধ্যমের ভিডিয়োয়, দু’ঘণ্টা অন্তর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পুষ্টিবিদ বা ফিটনেস প্রশিক্ষকদের কথায়, ওজন ঝরানো বা বশে রাখার অর্থ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার শরীরের প্রয়োজন মতো খাওয়া।