রোগা হওয়ার দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
নৈশভোজের পর আর জল কমই খাওয়া হয়। ফলে সারা রাত শরীরে জল সেই ভাবে পৌঁছয় না। তাই সকালে উঠেই প্রথমে জল খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। শরীর বেশি ক্ষণ জল ছাড়া থাকলে নানা সমস্যা হতে পারে। তা ছা়ড়া সকালে শরীরে জলের চাহিদাও অনেক বেশি থাকে। খালিপেটে জল খাওয়ার উপকারিতা কম নয়। শরীরের যাবতীয় টক্সিনও বাইরে বেরিয়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সকালে জল খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। অনেকে ঈষদুষ্ণ জলও খান। তবে ওজন ধরে রাখতে বিপাকহার বা়ড়িয়ে তোলা জরুরি। তাই শুধু জল না খেয়ে রোগা হতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি বিশেষ পানীয়ে।
লেবু জল
এক গ্লাস উষ্ণ জলে গোটা একটি লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন সাতসকালেই। এই পানীয় শুধু সকালের নয়, দিনের মধ্যে তিন-চার বার খেতে পারেন। গরম জলে লেবু মেশানোর কারণে অ্যাসিডিটি তো হয়ই না, উল্টে শরীরের জমে থাকা টক্সিন এতে দূর হয় সহজে। এ ছাড়া লেবুর জল গোটা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে, তাই খাবার হজম করতে কোনও বেগ পেতে হয় না।
সাদা জিরের জল
এক গ্লাস জলে এক চা চামচ সাদা জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে সেই জলটা ছেঁকে ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেয়ে নিন। জিরের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় তা হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বার করে বিপাক ক্রিয়ার হারও বৃদ্ধি করে জিরে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-র সঙ্গে পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। গ্রিন টি বিপাক হার বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনই পুদিনার সঙ্গে খেলে হজমপ্রক্রিয়াও ভাল থাকে।