ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই মিলিন্দের শরীরচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
‘ওজন কমানোর উপায়’ লিখে গুগলে সার্চ করুন, নিমেষে পেয়ে যাবেন হাজার রকম ফন্দি-ফিকির। কোথাও বলা হয় কড়া ডায়েটের কথা, কোথাও আবার জোর দেওয়া হয়েছে জিম বা শরীরচর্চার উপর। এগুলির সবই সময়সাপেক্ষ। অথচ রোজ নিয়ম করে দৌড়লেও কিন্তু অনেকটা ওজন কমানো সম্ভব হয়। অভিনেতা ও মডেল মিলিন্দ সোমানও এমনটাই মনে করেন। সম্প্রতি বৌ অঙ্কিতা কনওয়ারকে নিয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন মিলিন্দ। ছুটি কাটাতে গিয়েও শরীরচর্চার সঙ্গে আপস করতে নারাজ তিনি। সুইৎজ়ারল্যান্ডের রাস্তায় খালি পায়ে জগিং করতে দেখা গেল মিলিন্দকে। চারদিকে বরফের চাদরে ঢাকা পাহাড়, ৩ ডিগ্রি সেলশিয়াস তাপমাত্রায় হাতে গ্লাভস পরে খালি পায়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন মিলিন্দ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিটনেস নিয়ে আলোচনা করার সময়ে মিলিন্দ বলেছেন, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত দৌড়নোর জুড়ি মেলা ভার। মিলিন্দ বলেছেন, ‘‘২০০৩ সাল পর্যন্ত আমার দৌড়তে একেবারেই ভাল লাগত না। কিন্তু তার পর ২১ কিলোমিটার ম্যারাথনে প্রথম বার দৌড়নোর পর আমি ভীষণ আনন্দ পাই। আসলে ভাল অভিজ্ঞতা হলে তবেই কোনও জিনিস ভাল লেগে যায় মানুষের। দৌড়নোর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে আমার। ফিট থাকার জন্য সকলেই দৌড়তে পারেন।’’
নিয়মিত জগিং করলে কী কী লাভ হয় শরীরের?
১) সারা দিনের কাজের চাপ, মানসিক উদ্বেগ, ডেডলাইনের চাপ— সবটাই নিমেষে হাওয়া হয়ে যেতে পারে নিয়মিত জগিং করলে। মানসিক স্বাস্থ্যকে তরতাজা রেখে মেজাজ-মর্জিকে ভাল রাখার অন্যতম দিক এই দৌড়।
২) সারা শরীরের পেশি কাজ করে দৌড়, সাঁতার, নাচের মতো ব্যায়ামে। সেরা কার্ডিয়োভাস্কুলার এক্সারসাইজের অন্যতম জগিং। সারা দিন যতটা ক্যালোরি খাবারের সঙ্গে প্রবেশ করছে, সেই ক্যালোরিটুকু ঝরিয়ে ফেলতে পারলে তবেই ওজন কমে। জগিং করলে অনেকখানি ক্যালোরি ঝরে, তাই ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।
৩) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা আবশ্যিক। সেখানে গতির সঙ্গে পাঁচ মিনিট দৌড়লেও পুরো কাজটা সারা যাবে না, তা ঠিক। তবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জগিং অনেকটাই সুফল দেয়।
৪) অনিদ্রা, কম ঘুমের ঝঞ্ঝাটও অনেকটা এড়াতে পারেন পাঁচ মিনিটের এই দৌড়ে। শরীরে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বাড়ে বলে এর ফলে ঘুমও হয় ভাল।