মাইগ্রনের ব্যথা কমাতে এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার। ছবি: সংগৃহীত
মাসের বেশ কয়েকটি দিন মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই। কোনও কোনও মাসে দু’তিন বার এমন যন্ত্রণা দেখা দেয় যে প্রাত্যহিক কাজ করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। মাথা ব্যথা খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ। তবে কোন মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের, আর কোনটা নয়, এটা বুঝতেই রোগীর অনেকটা সময় লেগে যায়।
মাইগ্রেন অনেক ক্ষেত্রেই জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মস্তিষ্কের ‘ট্রাইজেমিনাল নার্ভ’ উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। ‘সেরেটোনিন’ নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এই ব্যথা এক বার শুরু হলে সহজে কমতে চায় না। এমন কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলি এই ব্যথাকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) চকোলেট: চকোলেট মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু চকোলেট নয়, চকোলেট দিয়ে তৈরি কোনও পানীয়, মিষ্টি বা কোনও রকম মুখরোচক খাবার খেলেও ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। চকোলেটে থাকা ক্যাফিন, ট্যানিন জাতীয় উপাদানের কারণে এমনটা হয়।
২) নুন জাতীয় খাবার: নুন আছে এমন খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। সরাসরি নুন খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনই নুনের পরিমাণ বেশি এমন খাবার খাওয়াও এই সময় এড়িয়ে চলুন। নুনে থাকা সোডিয়াম শুধু মাইগ্রেন নয়, উচ্চ রক্তচাপ, ক্লান্তি, মাইগ্রেন ছাড়া অন্য ধরনের মাথা ব্যথারও কারণ হতে পারে।
৩) অ্যালকোহল: মাইগ্রেন সমস্যার সবচেয়ে ক্ষতিকর জিনিস হল অ্যালকোহল-জাতীয় পানীয়। গবেষণা অনুসারে, ৩৫ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে। বিশেষত রেড ওয়াইন মাইগ্রেনের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি পানীয়।
৪) মিষ্টি: চিনি আছে এমন পানীয়, খাবার এবং মিষ্টি মাইগ্রেনের ব্যথায় একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার মাইগ্রেনের ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে।
৫) কফি: অত্যধিক পরিমাণে কফি খাওয়ার প্রবণতা মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন’-অনুসারে, কফিতে থাকা ক্যাফিন মাথা ব্যথার নেপথ্য কারণ। দিনে মাত্রাতিরিক্ত হারে চা, কফি খেলে মারাত্মক আকার নিতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা।