অল্প বয়সেই শুরু হতে পারে হাড়ের ক্ষয়। ছবি: শাটারস্টক।
হাড়ের স্বাস্থ্যের অবক্ষয়ের নেপথ্যে থাকে মূলত বার্ধক্য। শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধলে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকি। তবে হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই খুব উদাসীন। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চা না করা, ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাসে হাড়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। বিশেষ করে যাঁরা ধূমপান করেন, অল্প বয়সেই তাঁদের হাড়জনিত সমস্যা বাড়ে। হাড়ের সমস্যাগুলি শরীরে বাসা বাঁধার আগে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। সেগুলি নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। না হলে পরবর্তী কালে বড় সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। হাড়ের ক্ষয় রুখতে রোজের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্যালশিয়াম রাখা প্রয়োজন। শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলে হাড়ের নানা রকম অসুখ বাসা বাঁধে। শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হলে শরীরই সে কথা জানান দেয়। জেনে নিন, কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলেই পেশিতে ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি শুরু হয়। হাঁটাহাঁটি করার সময়ে উরুতে ব্যথা হয়। এ ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
২) ক্যালশিয়ামের অভাবে চরম ক্লান্তিভাব আসতে পারে। ক্লান্তি থেকেই যে কোনও কাজ করতে অনীহা আসে। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়। এ ছাড়া, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো এবং ব্রেন ফগও হতে পারে। শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির কারণে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দাঁতের স্বাস্থ্য বলে দিতে পারে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হয়েছে কি না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, একজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা হতে পারে। নখ ভেঙে যাওয়া শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতির বড় লক্ষণ।
৪) দাঁতের স্বাস্থ্য বলে দিতে পারে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হয়েছে কি না। ক্যালশিয়াম দাঁতকে মজবুত করে। দাঁতে যন্ত্রণা, মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে সচেতন হন।
৫) শরীরে ক্যালশিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলে, শরীর হাড় থেকে ক্যালশিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। অস্টিয়োপোরেসিসের মতো রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।