প্রতীকী ছবি।
অতিমারির এই সময়ে শিশুদের লেখাপড়া চলছে বাড়ি থেকেই। সারা দিনের যা যা কাজ, সবই প্রায় চার দেওয়ালের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে। একঘেয়েমি আসছে তার জেরে। প্রভাব পড়ছে তাদের মনের উপরে। ফলে অনেক সময়েই স্কুলের কাজের ক্ষতি হচ্ছে।
এ সময়ে নানা সমস্যায় রয়েছেন বাড়ির বড়রাও। কাজের ধরন বদলেছে, অনেকের কাজ চলেও গিয়েছে। কারও বা বেতন কমে গিয়েছে। এ সবেরই প্রভাব গিয়ে পড়ে বাড়ির শিশুটির উপরে। লেখাপড়ায় মন বসে না। বন্ধুদের দেখলে অনেক সময়ে সুবিধা হয়। কিন্তু এখন সে উপায়ও নেই।
এমন অবস্থায় সন্তানের যত্ন নেবেন কী ভাবে? যাতে নিজের কাজে তার মন বসে, সে দিকে যে খেয়াল রাখতেই হবে।
প্রতীকী ছবি।
নিয়ম
নিয়ম আগে ছিলই। গত দেড় বছরে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নতুন নিয়ম বানিয়ে ফেলুন। তাতেই হবে সুবিধা। গোটা দিনটা নিয়মে বাঁধা থাকলে মনও বসবে কাজে। সময় ধরে লেখাপড়া থেকে খাওয়া, সবই হবে।
প়ড়ার জায়গা
শিশুর ক্লাস এবং লেখাপড়ার জন্য একটা আলাদা কোণ বার করুন। পড়ার সময়ে যেন সংসারের আর কোনও কথাই তাদের কানে বিশেষ না পৌঁছয়। ছোট বাড়িতে এ কাজ কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়।
বন্ধু
ক্লাসের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলুন। তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে লেখাপড়ার ইচ্ছা কিছুটা হলেও বাড়বে। তা ছাড়া, একাকিত্বের সমস্যাও খানিক দূর হবে।
বহু কাজ
এক সময়ে নানা কাজে ঝোঁকার প্রবণতা আটকাতে হবে। পড়ার সময়ে পড়া। এ কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। বাদবাকি কাজ হবে অন্য সময়ে। তা হলে মন বসাতে সুবিধা হবে।