মাধুরী দীক্ষিত এবং তাঁর স্বামী চিকিৎসক শ্রীরাম নেনে। ছবি: সংগৃহীত।
হার্টের রোগ ধরা পড়েছে। ৩৮-এ হোক কিংবা ৬৮-তে— হার্টের সমস্যা যে বয়সেই ধরা পড়ুক, সুস্থ থাকতে জীবনে খানিকটা বদল আনা জরুরি। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায়। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করলে, হার্টের রোগ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। হার্টের সমস্যা অকস্মাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, তাই সাবধান থাকা জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করে, ঘরোয়া খাবারেই ভরসা রাখা উচিত হার্টের রোগীদের। বাড়ির খাবার হলেও, কোন তেলে রান্না হচ্ছে সেটাও এক্ষেত্রে বিচার্য। এ বিষয়ে অবশ্য নানাজনের নানা মত। তবে হার্টের রোগীদের জন্য কোন তেল নিরাপদ, জানাচ্ছেন বলিউ়ড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের চিকিৎসক স্বামী শ্রীরাম নেনে।
শ্রীরাম হৃদ্রোগ চিকিৎসক। হৃদ্রোগ সংক্রান্ত নানা সতর্কতামূলক ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে মাঝেমাঝেই ভাগ করে নেন তিনি। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিয়োতে হৃদ্রোগীরা কী কী তেল খেতে পারেন, তার একটি তালিকা দিয়েছেন।
রাইস ব্র্যান অয়েল
এই তেল হৃদ্রোগীরা খেতে পারেন, তার অন্যতম কারণ এতে রয়েছে পলি এবং মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না। কোলেস্টেরল বশে থাকলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে। শুধু হৃদ্রোগ নয়, এই তেল ডায়াবেটিকদের জন্যও ভাল।
বাদামতেল
চিনেবাদাম থেকে তৈরি তেলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন ই। এই তেলের রান্না করা খাবার যদি রোজ খেতে পারেন, তা হলে অনেক উপকার পাবেন। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কমবে শরীরে। কোলেস্টেরলও বিপদসীমা পেরোতে পারবে না।
সর্ষের তেল
হার্টের সমস্যা থাকলে সর্ষের তেল খাওয়া যায় না! এই ধারণা ভ্রান্ত বলে মনে করেন শ্রীরাম। বরং হার্টের রোগীদের জন্য সর্ষের তেল উপকারী, তেমনই মত। সর্ষের তেল রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। শরীরে ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ধমনিতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে এই তেলে রান্না করা খাবার খেলে।