স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ঝুঁকি কাদের বেশি? ছবি: সংগৃহীত।
অল্পবয়সিদের মধ্যে ইদানীং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। হৃদ্রোগের নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ হল অপর্যাপ্ত ঘুম, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে যাঁদের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাঁদের হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। স্লিপ অ্যাপনিয়া ডেকে আনে অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল রোগও। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সচল থাকে না।
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। তাই সতর্ক থাকার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তবে বার্ধক্য এবং স্থূলতার সমস্যা থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এই রোগটি নিয়ে সচেতনতা অনেক কম। সে কারণেই স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
অতিরিক্ত নাকডাকা এই সমস্যার প্রধান উপসর্গ। এ ছাড়া সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগা, ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনি, খিটখিটে মেজাজও স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল থাকে। কিন্তু যাঁরা ‘স্লিপিং ডিজ়অর্ডার’-এ ভোগেন তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে শ্বাসক্রিয়া বাধা পায়। এর ফলে শরীরের কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের মাঝে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই সমস্যা?
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। খাওয়ার পর খানিক ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। নিয়মিত যোগাসন করাটাও প্রয়োজন। চিত হয়ে শোওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করে পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন। সেই সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।