ওজন কমানোর সঠিক পন্থা না মেনে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিলে বা মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক
অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনে হাজার শারীরিক সমস্যা। তাই অনেকেই চেষ্টা করেন অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে। কিন্তু ওজন কমানোর সঠিক পন্থা না মেনে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিলে বা মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। নেটমাধ্যমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট করতে শুরু করেন। তবে তা মোটেই উচিত নয়। এত সব কসরত করার আগে রান্নাঘরের কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন করুন। দেখুন এতেই অনকেটা কাজ হয়ে যাবে।
১) ফল ও সব্জি হাতের কাছে রাখুন
তরমুজ, ফুটি, কিউয়ি, গাজর, শশা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফল ও সব্জি কিনে ছোট ছোট করে কেটে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রাখুন। এমন জায়গায় রাখুন যাতে ফ্রিজ খুললেই চোখের সামনে দেখতে পান। স্ন্যাকস হিসাবে এগুলো খান। ছুটির দিনে বেশি করে জুকিনি, গাজর, ক্যাপসিকাম জাতীয় সব্জি কেটে ফ্রিজে ভরে রাখুন। রান্নায় বেশি করে ব্যবহার করুন সবুজ শাকসব্জি।
২) স্যালাড তৈরি করুন
প্রত্যেক বার খাওয়ার আগে বাটি ভরে স্যালাড খান। এতে পেট কিছুটা ভরে যাবে ও খাবার কম পরিমাণে খাওয়া হবে। বার বার স্যালাড তৈরি করার ঝক্কি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই বড় বাটিতে স্যালাড বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যখনই খাবার খাবেন তার আগে অল্প করে স্যালাড খেয়ে নিন।
ছুটির দিনে বেশি করে জুকিনি, গাজর, ক্যাপসিকাম জাতীয় সব্জি কেটে ফ্রিজে ভরে রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) কাপ ও চামচ
রান্নাঘরে সাধারণ বাটি, চামচের বদলে পরিমাপ করা যায় এমন কাপ ও চমচ রাখুন। এতে খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে ও বেশি খাওয়া আটকাতে পারবেন। পুষ্টিবিদের পরমার্শ নিয়ে পরিমাপ করে খাওয়া শুরু করুন। তেলের পরিমাপ, ভাতের পরিমাপের উপর নজর দিন।
৪) ফ্রিজ পরিষ্কার রাখুন:
ফ্রিজে সোডা, কুকিজ়, আইসক্রিমের মতো হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার রেখে ভরিয়ে তুলবেন না। এতে যখনই ফ্রিজ খুলবেন, এই সব খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছা হবে।
৫) ছোট প্লেট:
খাবার নেওয়ার সময় থালা ভর্তি করে নেওয়াই আমাদের অভ্যাস। রান্নাঘর থেকে বড় থালা সরিয়ে ছোট ছোট প্লেট রাখুন। এতে স্বাভাবিক ভাবেই থালা ভরে খাবার নিলেও খাবারের পরিমাণ কমে যাবে।