Kartik Aaryan

কাজের চাপে হাঁপিয়ে উঠছি, আক্ষেপ কার্তিকের! কোন ৫ লক্ষণে বুঝবেন মানসিক চাপ বাড়ছে

কেবল কার্তিকের নয়, অত্যধিক কাজের চাপে মানসিক চাপে ভুগছেন অনেকেই। কম সময় অনেকখানি কাজ শেষ করতে হবে, সারা ক্ষণ মাথার ভিতর চলতে থাকে এই চিন্তা। মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা করলে যে পরিমাণ মানসিক চাপ তৈরি হয় তাতে একাধিক গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৬
Share:

‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবির দৃশ্যে কার্তিক আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।

‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পেশাগত জীবনে সঠিক ভারসাম্য রাখতে পারছেন না তিনি। সারা ক্ষণ কাজের এত অতিরিক্ত চাপের মাঝে তিনি মাঝেমধ্যেই হাঁপিয়ে ওঠেন।

Advertisement

কাজের জন্য নিজেকে সময় দিতে পারেন না কার্তিক, এমনই আক্ষেপ করেছেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘‘কাজের চাপে পড়ে এখন আর আমার ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু নেই। আমি সারা ক্ষণ কাজের কথা ভাবি, আগামী দিনে নতুন কী করা যায় সেই নিয়ে ভাবি, কী করিনি, কোথায় ভুল করেছি, কোন কাজটা ঠিক করেছি— এই চিন্তাগুলি মাথায় ঘুরপাক খায়। বেশ দীর্ঘ দিন ধরে এমন কাজের চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি আমার এখন নিজের জন্যও সময় বার করা দরকার।’’

কেবল কার্তিকের নয়, অত্যধিক কাজের চাপে মানসিক চাপে ভুগছেন অনেকেই। কম সময়ে অনেকখানি কাজ শেষ করতে হবে, সারা ক্ষণ মাথার ভিতর চলতে থাকে এই চিন্তা। মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা করলে যে পরিমাণ মানসিক চাপ তৈরি হয় তাতে একাধিক গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে আপাত ভাবে মানসিক চাপ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করা যায় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীর একাধিক সূক্ষ্ম সঙ্কেত দেয়, যা সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলি অবহেলা করলে ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যা তৈরি হওয়াও অসম্ভব নয়।

Advertisement

অনেক সময়ে আপাত ভাবে মানসিক চাপ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করা যায় না। ছবি: সংগৃহীত।

১। অব্যক্ত ব্যথা-বেদনা: স্ট্রেস বা চাপ পেশির টান সৃষ্টি করতে পারে, যা থেকে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা-বেদনা লুকিয়ে থাকা মানসিক চাপের লক্ষণ। প্রতিনিয়ত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ব্যথা এবং যন্ত্রণা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

২। ঘুমের সমস্যা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুমিয়ে থাকা কঠিন করে তুলতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অনিদ্রা ও মানসিক চাপ কার্যত একটি চক্রাকার সম্পর্কের মতো। একটি অপরটিকে ডেকে আনে। কাজেই মানসিক চাপের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে তা উপেক্ষা না করাই ভাল।

৩। ঘন ঘন মাথাব্যথা: মানসিক চাপ থেকে যে ধরনের মাথা ব্যথা হয় তাকে টেনশন হেডেক বলে। পাশাপাশি বেড়ে যেতে পারে মাইগ্রেনও। মানসিক চাপের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলেও ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে।

৪। হজম সংক্রান্ত সমস্যা: পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কোনও সমস্যা তৈরি হলে তার প্রভাব পাচনতন্ত্রকেও সমস্যায় ফেলতে পারে। দেখা দিতে পারে বদহজম, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

৫। ক্লান্তি: কখনও কখনও মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীর প্রতিনিয়ত অস্থির ও সন্ত্রস্ত থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ এই অবস্থা বজায় থাকলে ক্লান্তি দেখা দেয়। পাশাপাশি মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement