জামাইষষ্ঠীতে পেট ঠিক রাখার সহজ উপায় ছবি: দেবাশীষ দেব
জামাইষষ্ঠী মানেই ভূরিভোজ। আর ভূরিভোজ মানেই পেটের বিদ্রোহ। কিন্তু তাই বলে তো আর জামাইষষ্ঠীর খাওয়াদাওয়া উপেক্ষা করা চলে না! কাজেই এমন কিছু কৌশল দরকার যাতে খাওয়াও হবে কব্জি ডুবিয়ে, আবার বায়ুদূষণ ঘটিয়ে মুখও লুকোতে হবে না লোকলজ্জায়। রইল গ্যাস, অম্বল, পেটব্যথা ছাড়াই জামাইষষ্ঠী উপভোগ করার সহজ কিছু টোটকা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। জল খান বেশি করে। খাওয়াদাওয়া কিংবা বাজার করার চক্করে অনেক সময়েই মনে থাকে না জল খাওয়ার কথা। আর জল কম খাওয়া মানেই কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা। তার উপর যদি দুপুরের খাবার হয় ভারী, তা হলে তো আর কথাই নেই। যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁদের জন্যেও সারা দিন পরিমাণ মতো জল খাওয়া আবশ্যিক।
২। জামাইষষ্ঠীতে মদ্যপানের প্রচলন খুব একটা নেই। তবুও যদি মদ্যপান করতেই হয়, তবে তার পরিমাণ হতে হবে খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতিরিক্ত মদ পরিপাকের সময়ে খাদ্যকণার ভঙ্গনে সমস্যা তৈরি করে। অত্যধিক খাবার খেয়ে অতিরিক্ত মদ খেলে যেমন শরীর বিরূপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই খালি পেটে মদ খেলেও ঘটতে পারে বিপত্তি।
৩। কী খাচ্ছেন তার পাশাপাশি কী ভাবে খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। রাতের ভারী খাবারের অন্তত চার পাঁচ ঘণ্টা আগে দুপুরের খাবার খাওয়া দরকার। তার বেশি যেন পেট খালি না থাকে। খেতে বসে একটানা তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে আয়েশ করে, সময় নিয়ে খান। এতে হজমে সুবিধা হয়। খেতে বসে মাঝেমাঝে চুমুক দিতে পারেন হজমের জন্য উপযোগী কিছু পানীয়ে।
৪। খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট ৪৫ বসে বা শুয়ে গল্প করার বদলে একটু হেঁটে নিন। জামাইষষ্ঠীর খাওয়াদাওয়ার পর প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে খুব একটা খারাপ লাগবে না, ভাল থাকবে পেটও।
৫। যদি খাওয়াদাওয়া করার পর শারীরিক অস্বস্তি বাড়তেই থাকে কিংবা সমস্যা যদি শেষ পর্যন্ত হাতের বাইরে চলে যায় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেকেই নিজে নিজে ওষুধ খান। এতে কিন্তু সমস্যা কমার থেকে বিপদ বাড়ার আশঙ্কাই বেশি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।