আমের মরসুমে যেন চারদিক আমময় হয়ে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতায় পারদ চড়ছে। ঘাম-অস্বস্তি বাড়ছে। তবু মন ভাল এক দল বাঙালির। আমের আশায়। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ পাকা আম কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। কেউ আবার অপেক্ষা করছেন সেরা আম বাজারে আসার জন্য। আর কিছু দিনেই রোজ আম কিনতে শুরু করবেন।
আমের মরসুমে যেন চারদিক আমময় হয়ে ওঠে। সকালে দুধ-আম-রুটি হোক কিংবা কিংবা দুপুরে খাওয়া শেষ করে গোটা আম কিংবা আমের তৈরি মিষ্টি— গরমে আমের স্বাদ পেলে আর যে কিছুই চাই না বাঙালির।
নিয়মিত আম খেতে শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
কিন্তু রোজ আম খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ভাল? আমে নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। কিন্তু তার মানেই কি যখন তখন আম খাওয়া যাবে? তা একেবারেই নয়। নিয়মিত আম খেতে শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) যতই খাদ্যগুণে ভরপুর হোক আম, তবু একটি অতিরিক্ত ক্ষতির আশঙ্কা লুকিয়ে আছে এই ফলে। এতে অ্যালার্জির আশঙ্কা অনেকটা বেশি।
২) পাকা আমে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই নিয়মিত আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
৩) বেশ কয়েকটি ধরনের আমে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। অধিকাংশ ফাইবার বেরিয়ে যায় আঁটি আর খোসায়। ফলে হজমের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয় সব ধরনের আম। যদি আম খেতেই হয়, তবে সঙ্গে ফাইবারে ভরপুর কিছু ফল খাওয়াও জরুরি।
৪) আমে অনেকটা শর্করা থাকে। এই ফল খেলে তাই অনেকটা ক্যালোরি যায় শরীরে। আম খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। কারণ আমে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে।
৫) বেশি আম খেলে আবার আমাশার সমস্যা হতে পারে। বাজারে গেলেই এখন বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায়, তবে সেগুলি বেশির ভাগই গাছপাকা নয়, রাসায়নিক ব্যবহার করে সেগুলি পাকানো হয়। তাই আম কাটার আগে ঘণ্টা দুয়েক জলে ভিজিয়ে না রাখলে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।