বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, বাসি ভাত যদি খেতেই হয় তবে জল মিশিয়ে পান্তা খাওয়াই ভাল।
বাঙালি বাড়িতে দিন শেষে অতিরিক্ত ভাত থেকে যাওয়া একেবারেই বিরল নয়। কিন্তু আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত কোন উপায়ে পর দিন খাওয়া যাবে তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। কেউ বাসি ভাত গরম করে খান, কেউ আবার পছন্দ করেন নুন, লঙ্কা কিংবা এক টুকরো পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা ভাত খেতে। কিন্তু জানেন কি কোনটায় বেশি উপকার
প্রতীকী ছবি।
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, বাসি ভাত যদি খেতেই হয় তবে জল মিশিয়ে পান্তা খাওয়াই ভাল। বাসি ভাত গরম করে খেলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। এতে ভাতের পুষ্টিগত মান তো কমেই, থেকে যায় ডায়েরিয়া, বমির মতো রোগের আশঙ্কাও। অপর দিকে অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, ভাত পান্তা করে নিলে ভাতে উপস্থিত আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলির শোষণযোগ্যতা বা ‘বায়ো-অ্যাভেলিবিলিটি’ বাড়ে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও পেট ও শরীর ঠান্ডা রাখার টোটকা হিসেবে পান্তা ভাতের কথা রয়েছে। তাই অনেক সময় জ্বরের পথ্য হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, নানা গুণ থাকা সত্ত্বেও পান্তার একটি বড় সমস্যা হল, এর বিশুদ্ধতা সব সময় রক্ষিত হয় না। প্রায় নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে পান্তা ভাতে কলিফর্ম দেখা যায়। যা ডেকে আনতে পারে পেটের সমস্যা তাই পান্তা খাওয়ার আগে হতে হবে সতর্ক।