ডায়াবেটিকরা কি মাখানা খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবেটিক রোগীদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে বিধি-নিষেধের শেষ নেই। শর্করা দূরে সরিয়ে রাখতে গিয়ে ভাতের পরিমাণ, চিনি, আলু বা কন্দজাতীয় খাবার যেমন কমে যায়, তেমনই কিছু ফলও বাদ পড়ে যায় খাদ্যতালিকা থেকে। দুপুর বা রাতের খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, আনাজে পেট ভরলেও সমস্যা হয় সকাল ও বিকেলের জলখাবার নিয়ে। রোজ একই জলখাবার কিংবা স্ন্যাক্স কার আর ভাল লাগে! স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসাবে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে মাখানা। তবে ডায়াবিটিসের রোগীরা কি মাখানা খেতে পারেন?
মাখানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই কার্বোহাইড্রেটের উৎস হলেও এই খাবার রক্তের শর্করার মাত্রা চট করে বাড়িয়ে দিতে পারে না। ডায়াবেটিকদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। ওজন বেড়ে গেলে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রাও বেড়ে যায়। মাখানায় ক্যালোরির মাত্রা কম, তাই যাঁরা ওজন ঝরানোর ডায়েটে রয়েছেন, তাঁরাও কিন্তু মাখানা খেতে পারেন।
কী কী ভাবে খাওয়া যেতে পারে মাখানা?
১) সামান্য ঘি নিয়ে তাতে মাখানা কড়া করে ভেজে নিয়ে চাটমশলা, গোলমরিচ, লঙ্কারগুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাখানা খেতেই পারেন। সন্ধ্যার চায়ের সঙ্গে এ রকম নাস্তা বেশ ভালই জমবে।
মশলাদার মাখানা। ছবি: শাটারস্টক
২) মাখানা গুঁড়ো করে নিয়ে তার সঙ্গে সুজি আর দই মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে পাতলা ঘোল তৈরি করে দোসাও বানিয়ে ফেলতে পারেন। নারকেলের চাটনি দিয়ে খেতে মন্দ লাগবে না। সকালের জলখাবারে এ ধরনের দোসা রাখতেই পারেন ডায়াবেটিকরা।
৩) মাখানা ভেজে গুঁড়ো করে নিন এ বার বাদাম কুচি, সামান্য গুড় আর দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মিল্ক শেক। সকালের জলখাবারে এই মিল্ক শেকটি রাখতেই পারেন ডায়াবেটিকরা। তবে রোজ রোজ নয়, মাঝেমধ্যে।