পা মুড়ে বসলে কি ভ্রূণের ক্ষতি হবে? ছবি- সংগৃহীত
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সব মহিলাকেই নিজের খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার উপর যদি কোনও মহিলার আলাদা করে শারীরিক জটিলতা থাকে, সে ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের পরিধি আরও একটু বিস্তৃত হয়। দিন যত এগোতে থাকে, শরীরেও নানা রকম পরিবর্তন আসে। এই সময়ে খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা থেকে নিত্য দিনের যাবতীয় কাজ, সবেতেই বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে অনেকের মনে বেশ কিছু ধারণা আছে। সব ধারণার তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যেমন অনেকেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মাটিতে পা মুড়ে বসতে বারণ করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই বক্তব্যের আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। বিশেষ করে যে সব মহিলার কোনও শারীরিক জটিলতা নেই, তাঁদের জন্য এই নিয়ম একেবারেই খাটে না। শুধু তা-ই নয়, জরায়ুতে চাপ না দিয়ে এবং ভারী ওজন না তুলে সাধারণ সব কাজই করা যায়।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সন্তান জন্মের কিছু দিন আগে থেকে পা মুড়ে বসা বা প্রজাপতির মতো ব্যায়াম করা আসলেই শরীরের জন্য ভাল। এই নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কোনও কারণই নেই।
এই সময়ে মাটিতে পা মুড়ে বসলে কী কী উপকার হয়?
যে হেতু এই অবস্থায় কোমর এবং পায়ের উপর বেশি চাপ পড়ে, তাই দু’টি পা যতটা সম্ভব মুড়ে বসাই ভাল। কারণ, পা বেশি ক্ষণ ঝুলিয়ে রাখলে ফুলে যেতে পারে। পায়ে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। কোমর এবং পায়ের অস্থিসন্ধির জন্যও পা মুড়ে বসার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যাঁদের হালকা রক্তপাত বা স্পটিং হয়, তাঁদের জন্য মাটিতে পা মুড়ে বসা ক্ষতিকর হতে পারে।
মাটিতে পা মুড়ে না বসে এই ভাবে বসা অভ্যাস করুন। ছবি- সংগৃহীত
মাটিতে পা মুড়ে না বসে অন্য ভাবে বসতে পারেন কি?
মাটিতে বসে দু’টি পা ভাঁজ করে সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এ বার দু’টি পায়ের পাতা মুখোমুখি রেখে, যোনির কাছাকাছি টেনে নিয়ে আসুন। খেয়াল রাখবেন, এ ভাবে বসার সময়ে যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে। সকালে বা বিকেলে যোগাসন করার সময়ে এ ভাবে বসা অভ্যাস করুন। যত ক্ষণ না বসে থাকতে অসুবিধা হয়।