বর্ষায় বেশি কফি খেয়ে ফেলছেন? ছবি: সংগৃহীত।
কফি একটি জনপ্রিয় পানীয়। সকালের জড়তা কাটিয়ে দিন শুরু করতে বা সারাদিনের ক্লান্তি অতিক্রম করে নিজেকে চনমনে রাখতে অনেকেই কফি সেবন করেন। তবে, অতিরিক্ত কফি পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
বেশি কফি খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য কুপ্রভাব নীচে তালিকাভুক্ত করা হল।
১) উদ্বেগ ও অনিদ্রা: কফিতে থাকা ক্যাফিন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে এবংমস্তিষ্কে ‘অ্যাড্রেনালিন’ এবং ‘কর্টিসল’-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এর ফলে উদ্বেগ, এবং ঘুমের অসুবিধা জাতীয় সমস্যা হতে পারে।
২) হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপ: ক্যাফিন হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাঁদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হতে পারে।
৩) পাকস্থলীর সমস্যা: কফি অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে এবং হজমে অসুবিধা, পেট ফোলাভাব, এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে।
৪) ক্ষুধা হ্রাস: কফি ক্ষুধা দমন করতে পারে, যার ফলে অপুষ্টি হতে পারে।
অতিরিক্ত কফি পান হতে পারে ক্ষতিকারক। ছবি: সংগৃহীত
৫) নির্ভরতা: নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত কফি পানের ফলে কফির উপর শারীরিক ওমানসিক নির্ভরতা তৈরি হতে পারে, যার ফলে কফি ছাড়া থাকলে মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।
৬) গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ঝুঁকি: গর্ভবতী এবংস্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ক্যাফিন গ্রহণ সীমিত করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফিন গর্ভপাত, কম ওজনের শিশুর জন্ম, এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৭) কিছু ওষুধের সঙ্গে বিষক্রিয়া: ক্যাফিন কিছু ওষুধের সঙ্গে বিকৃত প্রতিক্রিয়া করতে পারে। কোনও বিশেষ ওষুধ সেবন করাকালীন কতটা কফি পান করা নিরাপদ তা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নেওয়া উচিত।
কতটা কফি পান করা নিরাপদ?
বেশিরভাগ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম (প্রায় ৪কাপ) পর্যন্ত ক্যাফিন গ্রহণ করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের, শিশু, কিশোর-কিশোরী, এবং কোনও গুরুতর রোগের চিকিৎসাধীন ব্যাক্তিদের জন্য কম ক্যাফিন গ্রহণ করাই স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল।