খুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কোন কোন দিকে বিশেষ নজর দেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কখনও কড়া রোদ, কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এমন মরসুমে অনেক শিশুই সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছে। এ ছাড়া ভাইরাল সংক্রমণ তো লেগেই রয়েছে। এ সব রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি। জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসের সামান্য রদবদলেই কিন্তু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য কিছু অভ্যাসের বদল জরুরি। শিশুরোগ চিকিৎসকদের মতে, শুধু খাবার পাতের দিকে লক্ষ রেখে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিলেই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ধুলোবালিতে খেলা করাও জরুরি।
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কোন কোন দিকে নজর দিতে হবে?
ঘুম: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত সময় ঘুম খুবই কার্যকরী। কারণ, ঘুম কম হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। যা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। শিশুদের অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার ঘুম জরুরি। এর জন্য বাবা-মাকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। শিশুরা যাতে কম্পিউটার গেম না খেলে বা দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন নিয়ে খেলা না করে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। এই ডিভাইসগুলিও শিশুদের ঘুম কমিয়ে আনে।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক: শিশুদের সামান্য অসুখেই অভিভাবকেরা এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। অথবা তা না নিয়েই সাধারণ রোগব্যাধির ক্ষেত্রে পরিচিত কিছু অ্যান্টিবায়োটিক শিশুকে খেতে দেন। এতে চটজলদি রোগ সেরে যায় ঠিকই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে শিশুকে অনেক বেশি দুর্বল করে ফেলে। অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই, খুব প্রয়োজন না হলে শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ানোই ভাল। আর একান্তই যদি প্রয়োজন পড়ে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাওয়ান।
জাঙ্ক ফুড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ফুড ডেলিভারি নয়: বাড়িতে বানানো খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করান শিশুকে। জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ টাটকা শাকসব্জি ও ফল খাওয়ান। শিশুর বায়না মেনে ফুড ডেলিভারি অ্যাপে ঘন ঘন খাবার অর্ডার করা বন্ধ করুন। জাঙ্ক ফুড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। প্রয়োজনে বাড়িতেই তাদের বানিয়ে দিন মুখরোচক খাবার।
খেলাধূলো জরুরি: ওবেসিটির কারণেও কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই শিশুর ওজনের দিকেও নজর রাখা জরুরি। বাড়ি বসে ভিডিয়ো গেম নয়, তাকে বাইরে মাঠে খেলতে পাঠান। সে যত খেলধূলো করবে, ততই শরীরচর্চা হবে, ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।