মাথা যন্ত্রণায় ভরসা রাখুন ঘরোয়া দাওয়াইয়ে। প্রতীকী ছবি।
পায়েস হোক বা বিরিয়ানি, শুক্তো হোক বা ডাল— ফোড়নে একটি তেজপাতা পড়লেই রান্নার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে শুধু রান্না নয়, স্বাস্থ্য ভাল রাখার ক্ষেত্রেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। হজমের সমস্যা দূর করতে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে, হার্টের সমস্যা রুখতেও তেজপাতা ভীষণ উপকারী। মাথা ও গাঁটের ব্যথা সারাতে অব্যর্থ দাওয়াই হতে পারে তেজপাতা। সেই সঙ্গেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতেও সাহায্য করে তেজপাতা।
আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, তেজপাতার তেলের একাধিক ঔষুধি গুণ আছে। নানা রকম অসুস্থতা ছাড়াও বাড়ির পরিবেশ দূষণমুক্ত ও শান্ত রাখতেও ব্যবহার করা হত তেজপাতা। সনাতন সেই তেজপাতার তেল বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন আপনিও।
২৫০ মিলি অলিভ অয়েল ও ৩০ গ্রাম তেজপাতা নিন। তেজপাতা গুঁড়ো করে অলিভ অয়েলে ভিজিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণ কাচের বয়ামে ঢেলে কোনও অন্ধকার জায়গায় ২ সপ্তাহ রেখে দিন। মাঝেমাঝে বয়ামটি ঝাঁকিয়ে নিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় পরে ভাল করে ছেঁকে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন তেজপাতার তেল।
বেদনানাশক হিসাবে তেজপাতার তেলের দারুণ গুণ। প্রতীকী ছবি।
কী কী উপকার পাবেন এই তেলে?
১) এই তেলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। এই তেলে আপনি সারা শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন।
২) বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব? পোকা গায়ে বসলে র্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়? সারা শরীরে তেজপাতার তেল মেখে নিতে পারেন। রেহাই মিলবে পোকামাকড়ের কামড় থেকে।
৩) বেদনানাশক হিসাবে এই তেলের দারুণ গুণ। মাথায় তীব্য যন্ত্রণা করলে বামের মতো এই তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন। কোমরে বা ঘাড়ে যন্ত্রণা হলেও উপশম পেতে পারেন এই তেলে।
৪) চুল ভাল রাখতেও নিয়ম করে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।