সারা বছর খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চললেও, উৎসবের সময় নিয়ম মানা হয় না। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানেই ভূরিভোজ। একে তো বিয়ের মরসুম, সেই সঙ্গে রয়েছে বড়দিন, পৌষপার্বণ, নতুন বছর। শীতকাল মানেই পিকনিক। এই উৎসবমুখর মরসুমে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে খাওয়াদাওয়া। সারা বছর খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চললেও, উৎসবের সময় নিয়ম মানা হয় না। ওজন বেড়ে যেতে পারে জেনেও, পাতে পড়ে মুখরোচক সব খাবার। তবে চিন্তা নেই, ভরপেট খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুধু মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।
বেশি করে জল খাওয়া
বেশির ভাগ প্যাকেটজাত বাইরের খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক সময়ে একটা অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। যা প্রদাহের কারণ হতে পারে। গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই একসঙ্গে খুব বেশি বাইরের খাবার খেয়ে নিলে কোনও ডিটক্স পানীয় খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
হাঁটাহাঁটি করতে পারেন
ভরপেট খাবার খাওয়ার পর ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমাতে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অনেকেই এমন আছেন, খাবার খাওয়ার পর সোজা ঘুমাতে চলে যান। এতে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। ওজন ঠিক রাখতে এবং শারীরিক অস্বস্তি দূর করতে খাবার খাওয়ার পর হাঁটাচলা করুন।
ভেষজ চা
ভূরিভোজের স্বস্তি পেতে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। এই ধরনের পানীয় খুব তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে। কী ভাবে বানাবেন এই চা? পুদিনা, আদা, আর গোলমরিচ দিয়ে তৈরি এই চা বিপাকক্রিয়ায় উন্নত করে। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বার করে দেয় এই পানীয়। ওজন নিয়ন্ত্রণেও এই পানীয় দারুণ কার্যকরী।
জল জাতীয় ফল খান
পছন্দের খাবার পেয়েই ভরপেট খেয়ে ফেলেছেন? স্বস্তি পেতে জল সমৃদ্ধ কিছু ফল খেতে পারেন। শসা, তরমুজের মতো ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেগুলি হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক।
প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দিন
বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী বেশ কিছু দিন প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিন। তরল কোনও খাবার খেতে পারেন। ফল বেশি করে খান। অ্যাভোকাডো, ওট্স, ডালিয়ার মতো খাবার বেশি করে খান। পেট খালি রাখবেন না।