ক্ষুদেদের ঠান্ডা লাগা মানেই, তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনীহা ও কান্নাকাটি বাধ্যতামূলক। —ফাইল চিত্র
দুপুরে লাগছে গরম আর রাত বাড়তে না বাড়তেই হিমেল হওয়ায় কেঁপে উঠছে শরীর। এমন আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি আরও বেশি। সন্তানের সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বহু অভিভাবকের কপালেই। ক্ষুদেদের ঠান্ডা লাগা মানেই, তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনীহা ও কান্নাকাটি বাধ্যতামূলক। মরসুম বদলের এই সময়ে শিশুদের সর্দিকাশির সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য রইল কিছু ঘরোয়া সমাধান।
১। উপযুক্ত পোশাক
শিশুরা ভারী শীতপোশাক গায়ে রাখতে পছন্দ করে না। তা ছাড়া এখন এমন একটা সময় যে, মাঙ্কি টুপি কিংবা হাত মোজা পরিয়ে রাখলেও বিপদ, আবার সাধারণ গেঞ্জি কিংবা জামা পরিয়ে রাখলেও লেগে যেতে পারে ঠান্ডা। তাই চেষ্টা করুন সন্তানের শীতের পোশাক যেন পরিমিত হয়। বেশি ভারী পোশাক বা বেশি হালকা পোশাক সমস্যা তৈরি করে দুই-ই। চেষ্টা করুন যেন দরকার অনুযায়ী বদলে দেওয়া যায় পোশাক। ভারী পোশাক যদি পরাতেই হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিতরে ভিতরে সন্তান ঘেমে না যায়।
২। খেলাধুলা
শীতকালে বেলা ছোট হয়ে আসে। স্কুলের চাপ সামলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় পায় না। কিন্তু শরীর ভাল রাখতে খেলাধুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। চেষ্টা করুন দিনের কোনও একটা সময়ে যেন ঘণ্টাখানেক খেলাধুলো করতে পারে সন্তান। ঘরের বাইরে খোলা আলো-বাতাসে ছুটোছুটি করতে পারলে চনমনে থাকবে শরীর।
স্কুলের চাপ সামলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় পায় না। —ফাইল চিত্র
৩। মরসুমি শাক-সব্জি
বাংলার শীত মানেই বাহারি সব্জির সমাহার। কড়াইশুঁটি থেকে ব্রকোলি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সব্জির জুড়ি মেলা ভার। এখন থেকেই বাজারে বিট-গাজর আসতে শুরু করে দিয়েছে। কাজেই দেরি করে লাভ নেই। স্বাদ পছন্দ না হলে স্যুপ করেও খাওয়াতে পারেন। শুধু সব্জি নয়, এখন থেকেই খাওয়াতে হবে কমলালেবু, আপেল কিংবা স্ট্রবেরির মতো ফল। বিশেষ করে লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগভোগ থেকে শরীরকে চাঙ্গা করতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। নিয়ম করে চ্যবনপ্রাশ ও মধু খেলেও সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হতে পারে।
৪। পরিছন্নতা
কোভিড আসার পর পরিছন্নতা নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে সর্বস্তরেই। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই কচিকাঁচাদের মাথায় সব সময়ে সে খেয়াল থাকে না। কাজেই সন্তানের পরিছন্নতার দ্বায়িত্ব নিতে হবে মা-বাবাকেই। খেয়াল রাখুন যেন সন্তান যখন-তখন মুখে হাত না দেয়। কিংবা যে কোনও খাবার খাওয়ার আগে যেন ভাল করে হাত ধুয়ে নেয়। কোভিডের চিন্তা কমে যাওয়ায় এখন মাস্ক পরা ছেড়েছেন অনেকেই। এই সময়ে কিন্তু সেই মাস্ক সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণু আটকাতেও কাজে আসতে পারে।