হাড় মজবুত করতে মাখানাও খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৩৫-এর কোঠা পার হলেই অনেকের হাড় ভঙ্গুর হতে শুরু করে। বিশেষত মহিলাদের। হাড় মজবুত রাখার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম-সহ নানা খনিজের।
দুধে থাকে প্রচুর ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ। সে কারণে হাড় শক্ত রাখতে শুধু ছোটদের নয়, বড়দেরও দুধ খেতে বলা হয়। তবে অনেকেরই দুধে থাকা ‘ল্যাকটোজ়’ হজমে সমস্যা হয়। ছোটদেরও অনেকের দুধ সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে দুধের বদলে ভরসা রাখতে পারেন মাখানাতেও। সাদা গোল খাদ্যবস্তুটি হল পদ্মফুলের বীজ। শুধু হাড় মজবুত রাখা নয়, ওজন থেকে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ— মাখানা সমস্ত কিছুর জন্যেই ভাল।
হাড় মজবুত করে
হাড়ের মূল উপাদান হল ক্যালশিয়াম। এ ছাড়া ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে জরুরি। মাখানায় থাকে ক্যালশিয়াম, ফরফরাস। অল্প মাত্রায় ম্যাগনেশিয়ামও থাকে এতে। মাখানা খেলে তাই হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
পুষ্টিগুণে ঠাসা
প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে মাখানায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই যাঁরা ওজন ঝরাতে চান, তাঁরা মাখানা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। এতে যেমন বাড়তি ক্যালোরি শরীরে ঢুকবে না, তেমনই পুষ্টিরও অভাব হবে না।
অন্যান্য উপকারিতা
মাখানা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। এতে ক্ষতিকর ফ্যাট নেই। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উল্টে পটাশিয়াম থাকায়, তা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে মাখানা খেলে লাভ হবে?
১. মাখানা শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিলে বেশ মুচমুচে হয়ে যায়। তবে ঘি দিয়েও মাখানা ভেজে নিতে পারেন। মাখানায় ক্যালশিয়াম থাকে। ঘি-ও হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। মাখানার সঙ্গে ঘি যোগ করলে স্বাদ ও গন্ধ বেড়ে যায়।
২. কড়াইতে নেড়েচেড়ে নেওয়া মুচমুচে মাখানা স্যালাড অথবা স্যুপে দিয়েও খাওয়া যায়।
কতটা খাওয়া উচিত?
উপকারী হলেও কোনও খাবারই বেশি খাওয়া ভাল নয়। এক মুঠো মাখানা বা ২৮-৩০ গ্রাম নিয়মিত খেলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
হাড় মজবুত রাখতে শুধু মাখানাই নয়, পনির, তোফু, লেবু, কলা-সহ যে সমস্ত খাবারে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, খনিজ রয়েছে তা খাওয়া যেতে পারে।