স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই গরমে পেটের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন সহজেই। প্রতীকী ছবি।
বাঙালি যেমন ভোজনরসিক, তেমনই পেটরোগা! অনুষ্ঠান বাড়িতে একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা তেলমশলার পরিমাণ সামান্য বেশি হয়ে গেলেই পেটের গোলমাল শুরু হয়ে যায়। আর কথায় কথায় মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার বদভ্যাস তো আছেই। চিকিৎসকদের মতে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে। গরমে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু খুব বেশি ওষুধ নির্ভর হয়ে পড়া কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলের ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস নানা ক্রনিক অসুখকে ডেকে আনে। তাই স্বাভাবিক উপায়ে হজম ক্ষমতা বাড়ানো ও হজম উপযোগী খাবার খাওয়াই প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই গরমে পেটের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।
১) গরমের দিনে অনেকেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। আর শরীরে জলের ঘাটতি হলেই হজমে অসুবিধা হয়, আর তার জেরেই পেটের গোলমাল শুরু হয়। তাই সারা দিন দু-তিন লিটার জল অবশ্যই খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় ডিটক্স ওয়াটারও রাখতে পারেন।
২) মরসুম বদলের সময় চারদিকে বাড়ছে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি। ভাইরাস শরীরে বাসা বাধলেও কিন্তু পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস শুরু করুন, ঠিক যেমনটা কোভিডকালে করেছিলেন। খাওয়ার আগে যেন অবশ্যই হাত ধুয়ে খেতে বসেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
গরমের দিনে ডায়েটে রাখুন টক দই। ছবি: সংগৃহীত।
৩) গরমের দিনে ডায়েটে প্রোবায়োটিক খাবার বেশি করে রাখলে পেট ভাল থাকে। এই সময়ে ডায়েটে বেশি করে টক দই, ঘোল, অ্যাপেল সিডার ভিনিগার রাখতে হবে। পেট ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে বেশি রাখতে হবে। মরসুমি ফল ও সাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
৪) গরমে একটু ভারী খাওয়াদাওয়ার পরেই অনেকের শরীরে হাসফাঁস হয়। নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকলে সেই সমস্যা এড়ানো যায়। জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে না চাইলে সকালে কিংবা সন্ধ্যার দিকে হাঁটাহাঁটি করুন। হালকা জগিং করলেও শরীর তরতাজা থাকবে। পেটের সমস্যা দূর হবে।
৫) গরমে নিয়মিত একটি পানীয় খেলেও পেটের গোলমাল এড়িয়ে চলতে পারেন। কয়েক কুচি আদা ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে নিয়ে কিছুটা ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে নিন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর সেই জল খেলে আরাম মিলতে পারে পেট ফাঁপার সমস্যায়। এই পানীয় খাদ্যনালির ভিতরে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভাল করে পাচনশক্তিও।