কী ভাবে সুস্থ থাকবে শরীর ছবি: ফাইল চিত্র
কালবৈশাখী নিয়ে বাঙালির রোম্যান্টিকতার শেষ নেই। অথচ প্রকৃতি কিন্তু মোটেই সেসবের তোয়াক্কা করছে না। প্রায় রোজই বিকেলের দিকে ঝড় বৃষ্টি এলেও, দিনেরবেলায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। ফলে একদিকে ঠান্ডা-গরমের তারতম্য, অন্য দিকে প্রবল আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় শরীরের সুস্থতা রক্ষা করতে বাড়তি উদ্যোগ প্রয়োজন।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
এই সময়, বৃষ্টির জল যত কম গায়ে লাগানো যায় ততই ভাল, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এই বিষয়ে এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসক তথাগত সাহু বলেন, ‘‘ছাতা সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন সব সময়, এতে রোদ আর বৃষ্টি দুই-ই আটকাবে। কোনও ভাবে শরীর ভিজে গেল যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলতে হবে পোশাক। মাথা ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মুছে নিতে হবে।’’
শুধু বৃষ্টির জলই নয়, এই সময় হরেক রকমের রোগ জীবাণুরও প্রকোপ শুরু হয়। তাই এই ধরনের রোগ জীবাণু থেকে বাঁচতে চিকিৎসক সৌরভ দাসের দাওয়াই ‘পরিচ্ছন্নতা’। নিয়মিত হাত-পা ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিশুরা খেলাধুলো করবেই। কিন্তু অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তারা নোংরা জল-ময়লা না ঘাঁটে।’’ খুদেদের জামাকাপড় ও হাত নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি, মত তাঁর।
এই সব কিছুর সঙ্গে সৌরভ দাস মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে কোনও ধরনের রোগব্যাধির মোকাবিলা করতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যাঁদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে নিয়মিত, তাঁদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘বাইরের কাটা ফল, শরবত এড়িয়ে চলাই ভাল।’’ তথাগত সাহু জানান, প্রয়োজনে দুই বোতল জল নিতে হবে সঙ্গে। একটি বোতলে সাধারণ জল ও অন্য বোতলে নুন-চিনি মেশানো জল নেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত জল পান করার পাশাপাশি, জোর করে প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না বলেও মত তাঁর। এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা পেটের গোলযোগের মতো সমস্যা দেখা দিলে, রোগ নিয়ে বসে না থেকে বা নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানান দুই চিকিৎসক।