কানের ব্যথা হতেই পারে সংক্রমণের লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের মরসুম মানেই কানের সংক্রমণের ঘটনা বেড়ে যায় ঘরে ঘরে। এই সংক্রমণ কানে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস থেকে প্রদাহের কারণে হয়। যদিও এই সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্করাও এর হাত থেকে রেহাই পান না সহজে। গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ার পরে মধ্য কানের প্রদাহ শুরু হয়। সংক্রমণ মধ্যকর্ণে ছড়িয়ে পড়ে এবং কানের পর্দার পিছনে তরল জমা হয়। যদিও এই সংক্রমণ মাঝেমাঝে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়, তা হলে অবস্থার তীব্রতার উপর নির্ভর করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়াই ভাল। তবে এই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কী ভাবে রোখা সম্ভব এই সংক্রমণ?
১) ধূমপান বন্ধ করুন। ফুসফুসের সংক্রমণ হলে ধূমপানের পরে তা আরও বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছয়। সেই সংক্রমণ কান পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
২) কানের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। আমরা সারা দেহ নিয়ম করে পরিষ্কার করি। কিন্তু কানের কথা আর মনে থাকে না। এই অভ্যাস থেকেই কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
৩) ইয়ারফোন ব্যবহারে সতর্ক হন। এখন মোবাইলের সঙ্গে সঙ্গে হেডফোন বা ইয়ারফোন হয়ে উঠেছে আমাদের নিত্যসঙ্গী। অন্যের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের করার আগে সতর্ক হোন, এতেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
শীতে কান ঢেকে চলাফেরা করুন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) শীতে কান ঢেকে চলাফেরা করুন। মাথা ঢেকে চলাফেরা করার অভ্যাস না থাকার ফলে ঠান্ডা হাওয়া বা বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া কানের মাধ্যমেও দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
৫) অন্যান্য সংক্রমণ থেকেও কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত গলা ও মাড়ির সমস্যার চিকিৎসা সময় মতো না হলে তা কানের সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। ঠান্ডার কবল থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি।