রাতে ঘুম না হলেও সকাল হোক ফুরফুরে। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে সারা দিন চনমনে থাকে শরীর। বাড়তি একটা স্ফূর্তি আসে শরীরে। তেমনি সারা রাত যদি এ দিক-ও দিক করে কেটে যায়, তাহলে কাজে একেবারেই কোনও গতি থাকে না। দুর্বল লাগে শরীর। তাই রাতে ঠিকঠাক ঘুম হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু রাতে ঘুম না আসার সমস্যা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে, তা হলে সমাধানের অন্য উপায় খুঁজতে হবে। রাতে ঘুমোনোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলি যদি মনে করা যায় তাহলে না ঘুম হলেও দুর্বল হয়ে পড়বে না শরীর।
মন দিয়ে খাবার খাওয়া
একে তো ঘুমের দেবতা আপনার উপর প্রসন্ন নন। তার উপর যদি হজমের গোলমাল হয়, তা হলে শারীরিক অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না। সে ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য সময় মতো খাবার খেয়ে নিতে হবে। বেশি রাত করে খেলে বিপাকক্রিয়া ভাল হয় না। খাবার খাওয়ার সময় অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
কফি খেলেও, অল্প খান
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার এক কাপ কফিতে চুমুক দেন অনেকেই। তাতে সারা দিনের ক্লান্তি কেটে যায় ঠিকই। কিন্তু রাতে কফি খাওয়া মানেই শারীরিক অস্বস্তি ডেকে আনা। কফি এমনিতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তার উপর যদি অনিদ্রার সমস্যা থাকে তাহলে কফি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
কাজ থেকে দূরে থাকুন
ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে একটু বিশ্রাম দিন। মাথা এবং মন শান্ত করুন। একান্ত দরকার হলে হালকা কাজ করুন। এমন কোনও কাজ করবেন না যা মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের খাটনি হয়। তা হলে ঘুমোনোর যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, সেটাও থাকবে না।
শ্বাস ভরে বাতাস নিন
রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। একটু হাঁটাচলা করুন। দরকার হলে বারান্দায় গিয়ে বাতাস নিন। মন শান্ত হয়ে যাবে। মন ঠান্ডা হলে ঘুমও আসবে দ্রুত। অনিদ্রা রোগ থাকলেও বসন্তের ঠান্ডা বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দেবে। ঘুম আসবে এমনিই।