আংটিবদল অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অনন্ত রাধিকার আড়ালে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
কিছু দিন আগেই নতুন জীবনে পা দিয়েছেন ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বাগ্দান পর্ব সেরে ফেললেন তিনি। অম্বানী পরিবারের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চর্চার যে দিকগুলি খুলেছে, তার মধ্যে অন্যতম অনন্তের অতিরিক্ত ওজন। আংটিবদল অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অনন্ত রাধিকার আড়ালে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনন্তর চেহারা বরাবরই ভারীর দিকে। তবে ২০১৭ সাল নাগাদ ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছিলেন তিনি। তিন বছরের চেষ্টা এবং পরিশ্রমে একেবারে নিজের ভোল বদলে ফেলেছিলেন মুকেশ-পুত্র। ছিপছিপে অনন্তকে দেখে অবাক হয়ে হয়েছিলেন অনেকেই। তা হলে আবার কী ভাবে ওজন বেড়ে গেল অনন্তর? উঠছে প্রশ্ন।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ওজন কমানো কঠিন, তবে তার চেয়েও শক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। এক বার ওজন কমে গেলে অনেকেই আবার পুরনো রুটিনে ফিরে যান। সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল। অনন্তও কি তেমনটাই করেছিলেন? ওজন কমানোর ফলে ঠিক কোন ভুলে ফের বাড়তে পারে ওজন?
তিন বছরের চেষ্টা এবং পরিশ্রমে একেবারে নিজের ভোল বদলে ফেলেছিলেন মুকেশ-পুত্র। ছবি: সংগৃহীত
শরীরচর্চা বন্ধ করে দেওয়া
ওজন কমে যাওয়ার পর অনেকেই শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। মেদ ঝরে গিয়েছে মানে, আর জমতে পারবে না, তা কিন্তু নয়। শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে ওজন ঝরার পরেও। নয়তো আবার আগের চেহারায় ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডায়েট না মানা
ওজন ঝরাবেন বলে কঠোর ডায়েট করলেন। যেই সুফল পেলেন, তখনই আবার পুরনো খাদ্যাভ্যাসে ফিরে গেলেন। এমনটা কখনও করবেন না। তা হলে আবার মোটা হয়ে যেতে পারেন। তাই ডায়েট চালিয়ে যেতে হবে।
দেদার মিষ্টি খাওয়া
ওজন কমা মাত্রেই দু-একটা মিষ্টি মুখে পুরতে শুরু করেন অনেকেই। মিষ্টি খাওয়া মানেই স্থূলতা ডেকে আনা। কষ্ট করে যে ওজন কমিয়েছেন, তা আবার বেড়ে যাক— এমন না চাইলে ওজন কমার পরেও মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসে রাশ টানুন।
পর্যাপ্ত না ঘুমানো
ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল ঠিক করে ঘুম না হওয়া। ওজন কমে যাওয়ার পরেও এই কথা প্রযোজ্য। রোগা হয়েছেন মানেই কম ঘুমোলে চলবে, তা কিন্তু নয়। ঠিক করে না ঘুমোলে আবার ওজন বেড়ে যেতে পারে।