অনেকে অজান্তেই মুখের আলসারে ভুগছেন। প্রতীকী ছবি।
ঝালমুড়ি, চপ-শিঙাড়ায় কামড় বসাতেই মাঝেমাঝে ঠোঁটের নীচে, মুখের ভিতরে জ্বালা করে ওঠে। একনাগাড়ে ব্যথা করতে থাকে। অনেকেই বুঝতে পারেন না, হঠাৎ কী হল। কিছু দিন যন্ত্রণাটা থাকে। আবার সময় গড়ালে ব্যথা কমেও যায়। মুখের এই ক্ষত আসলে আলসার। অনেকে অজান্তেই মুখের আলসারে ভুগছেন। শরীরে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ফোলেটের মতো কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলেই মূলত এমনটি হয়। আবার টক কিছু খেলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। পাকস্থলীতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণও এর কারণ হতে পারে। এমন সমস্যায় মাঝেমাঝেই হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া, কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে মুখের আলসার সারানোর। রইল তেমন কয়েকটি টোটকার খোঁজ।
নারকেল তেল
চুলের দেখাশোনা করা থেকে ত্বকের যত্ন— সবেতেই নারকেল তেলের ভূমিকা অনবদ্য। তবে শুধু রূপচর্চায় নয়, নারকেল তেল দেখাশোনা করে শরীরেরও। মুখে আলসার হলে, চটজলদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন নারকেল তেলে। মুখে কোনও ক্ষত দেখা দিলে অল্প নারকেল তেল নিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতে কমে আসে জ্বালা-যন্ত্রণা।
বেকিং সোডা
হেঁশেলের একটি অপরিহার্য উপাদান বেকিং সোডা। রান্নাতে ব্যবহার করা ছাড়াও, শরীরের বেশ কিছু সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বেকিং সোডা কার্যকরী। মুখের আলসারের ঘরোয়া উপায় হিসাবে বেকিং সোডা দারুণ বিকল্প। এটি পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে, ফলে ক্ষতের জ্বালা ভাব অনেকটা কমে আসে। আধ কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। ঘা সেরে যাবে।
মধু লাগান
শীতকালে সর্দি-কাশি কমাতে মধুর গুণ বলাই বাহুল্য। মুখে ঘা হলেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। ক্ষতস্থানে মধু হলে সেই জায়গাটি ঠান্ডা হবে। জ্বালা অনেকটাই কমবে এর ফলে। মধুতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান, যে কোনও সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম। তাই মধু লাগালে উপকার পেতে পারেন।