ব্যথা হচ্ছে মানেই আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন এমন নয়। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে ব্যথার মতো নানা সমস্যা ভোগাতে শুরু করে। তবে ইদানীং অবশ্য বার্ধক্যের অপেক্ষা করতে হয় না। কম বয়সেই এই ব্যথা-যন্ত্রণা হানা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে সারা দিন অফিসেই বসে কেটে যায়। শরীরচর্চার অভাব, কম্পিউটারে মুখ গুঁজে কাজ করা— সব মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পিঠ, কোমর, হাঁটুতে ব্যথা। তবে হাঁটুতে ব্যথা করছে বলেই রোজ চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে, তা নয়। সব সময় যে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে, সেটাও ঠিক নয়। তাতে আবার অন্য অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। তার চেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা-বেদনা কমানোর চেষ্টা করাই শ্রেয়।
১) ব্যথা হচ্ছে মানেই আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন এমন নয়। সমাধানের আগে সমস্যা বুঝতে হবে। কী কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা জানতে হবে। কোনও চোট পেয়ে ব্যথা হয়েছে না কি আর্থ্রাইটিস— সেটা জানা জরুরি। সমস্যা জেনে সমাধানের পথ খুঁজুন।
২) হাঁটুতে ব্যথার কারণ যাই হোক, সেঁক দিলে কিন্তু স্বস্তি মিলতে পারে। অনেকেই ঠান্ডা-গরম সেঁক দেন। তবে সরাসরি বরফ না দেওয়াই ভাল। বিকল্প হিসাবে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
৩) হাঁটুর ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। এক কাপ উষ্ণ জলে দুই চামচ ভিনিগার ও কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেতে পারেন। ব্যথা কমবে।
যে কোনও ব্যথা কমাতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
৪) যে কোনও ব্যথা কমাতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। মেথিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে প্রতি দিন নিয়ম করে উষ্ণ জলে মেথি ভিজিয়ে খেতে পারেন। অথবা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখা মেথি সকালে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
৫) লেবু এবং গাজরের রস কিন্তু গাঁটের ব্যথার ওষুধ হিসাবে কাজ করে। গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে খান। নিয়মিত এটি খেলে ব্যথা-বেদনা কমে যাবে।