Pregnancy Tips

মোটা মানেই কি সন্তান ধারণে অক্ষম? কেন সন্তান পরিকল্পনা করার আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি

ওবিসিটি থাকলে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ ‌অনেক বেশি বেড়ে যায়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই কারণেও সন্তানধারণে অসুবিধে হয়। বাড়তি মেদের জন্য শারীরিক নানা রকম জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ ১৯:১২
Share:

মা হওয়ার আগে ওজন কমানো কেন জরুরি? ছবি: শাটারস্টক

দীর্ঘ দিন চেষ্টা করেও সন্তানলাভ হচ্ছে না? এর পিছনে কিন্তু কারণ হতেই পারে ওবিসিটি বা স্থূলত্বের সমস্যা। অতিরিক্ত ওজনের কারণে সন্তানধারণে সমস্যা হতেই পারে। শরীরে বাড়তি মেদ থাকলে ডিম্বস্ফোটন ঠিক ভাবে হয় না, আর ডিম্বস্ফোটন না হলেও সন্তানধারণের সম্ভাবনাও থাকে না। ডিম্বাশয় থেকে স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রোজেন তৈরি হয়। অ্যাডিপোজ টিস্যু বা মেদকোষগুলিও আলাদা ভাবে ইস্ট্রোজেন তৈরি করে। তাই ওবিসিটি থাকলে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ ‌অনেক বেশি বেড়ে যায়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই কারণেও সন্তানধারণে অসুবিধে হয়। এ ছাড়াও বাড়তি মেদের জন্য শারীরিক নানা রকম জটিলতাও দেখা দিতে পারে, যা হবু মা এবং ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে।

Advertisement

স্থূলত্ব কী ভাবে সন্তানধারণের সুখ থেকে বঞ্চিত করে?

উচ্চ রক্তচাপ: দেহের বাড়তি ওজনের ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। যা সন্তানধারণের একেবারে প্রথম পর্যায়ে ভ্রূণের জন্য সাংঘাতিক বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ওজনকে সবার আগে বাগে আনতে হবে।

Advertisement

ম্যাক্রোসমিয়া :অনেক সময়েই দেখা যায়, গর্ভস্থ ভ্রূণটি স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে বড়। তাই প্রসবের সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই সতর্ক থাকতে হয়। এই ভয় দ্বিগুণ হয়ে যায় যদি মায়ের দেহের ওজন বেশি হয়। কারণ, স্বাভাবিক ভাবে প্রসবের সময়ে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দু’জনেরই প্রাণের ঝুঁকি থাকে।

মোটা হওয়ার সঙ্গে মা হওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। ছবি: সংগৃহীত।

ডায়াবিটিস: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। যা প্রসবের পর আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। কিন্তু সন্তানধারণ করতে চান এমন স্থূলকায় মহিলার রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ যদি বেশি থাকে, তা হলে মা হওয়ার পথটি নিঃসন্দেহে জটিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সন্তানের মধ্যেও টাইপ-১ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: ঘুমের মধ্যে হঠাৎই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় অনেকের। কিছু ক্ষণ পর আবার নিজে থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণই হল অতিরিক্ত ওজন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এমন লক্ষণ দেখা দিলে হবু মা এবং ভ্রূণ, দু’জনেরই ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

জন্মগত ক্রটি: হবু মায়ের অতিরিক্ত ওজন গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, জন্মের সময়ে শরীরে কোনও ত্রুটি নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের মায়েদের ওজন সে সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল।

অবশ্য, মোটা হলেই মা হওয়া যায় না, এই ধারণা ভুল। মোটা হওয়ার সঙ্গে মা হওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে সন্তান ও নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে আপনার আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত, তা উচ্চতার উপর নির্ভর করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement