নিজস্বী তুলতে খুব ভালবাসেন? অথচ নিজস্বী দেখেই মন খারাপ হয়ে যায়? সব ছবিতেই এসে জোটে অবাঞ্ছিত ‘ডবল চিন’? রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়ার ধুম, শরীরচর্চার অভাব ও বেশি রাত অবধি জেগে থাকার অভ্যাস— আমাদের অনেকেরই জীবনধারার অঙ্গ। এই সব কারণেই মেদ জমে শরীরের নানা অংশে। কেবল পেটেই নয়, মেদ জমতে থাকে মুখেও। তার জেরে বেশি বয়স্ক দেখায় অনেককে। চিবুকের নীচে জমে থাকা মেদ ঝরাতে গেলে ভরসা একমাত্র ব্যায়ামই। তেমনই কয়েকটি ব্যায়ামের হদিস রইল এখানে।
মৎস্য মুখ
ইদানীং অনেককেই এই ভঙ্গিতে নিজস্বী তোলেন। এই ভঙ্গিমার এর বাজারচলতি নাম ‘পাউট’। অনেকটা সেই ভাবেই গাল দুটো ভিতরের দিকে ঢুকিকে মুখটা মাছের মতো করে রাখুন। কয়েক সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। বেশ কয়েক বার এই ব্যায়াম করুন।
সিংহমুদ্রা
এই আসনটি করতে গেলে প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। হাতের তালু রাখতে হবে উরুর উপরে। এ বার জিভ যতটা সম্ভব বার করা যায়, তত দূর বার করুন। এমন করতে করতেই শ্বাস ছাড়ুন এবং মুখে আওয়াজ করতে থাকুন। সিংহের মতো আওয়াজ করতে বলা হয় বলে এর নাম সিংহমুদ্রা।
প্রতীকী ছবি
মুখ ধোয়ার পদ্ধতি
মেদ ঝরাতে মুখ ধোয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে মুখে জল নয়, বাতাসের সাহায্য নিতে হবে। যে ভাবে কুলকুচি করা হয়, সে ভাবে মুখের মধ্যে বাতাসকে এক দিক থেকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে হবে। ২০-৩০ সেকেন্ড টানা করুন। তার পরে বিশ্রাম নিয়ে আবার করুন।
জিভ দিয়ে নাক ছোঁয়ার চেষ্টা
একটি জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। এ বার জিভ বার করে নাকে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। এমন করার সময় গলার কাছে চাপ পড়বে। ১০ সেকেন্ড ভঙ্গিটি ধরে রাখুন। তার পর ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় করুন।
হাতের তালু দিয়ে চিবুকের উপর চাপ দেওয়া
এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেও মুখের মেদ ঝরোনো যায়। দু’টি হাতের তালু দিয়ে চিবুকের উপর চাপ দিন। মিনিট পাঁচেক করুন। সারা দিনে পাঁচ-ছয় বার করতে পারলে উপকার পাবেন।