Heart Disease

বয়স ৩০ পেরনোর আগেই হানা দিচ্ছে হৃদ্‌রোগ, কেমন করে ঠেকাবেন?

জিনগত কারণে বা জন্মগত ভাবে হার্টের অসুখ রয়েছে এমন মানুষ ছাড়া, যাঁদের অন্য কোনও কারণে হার্টের অসুখ ধরছে, তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছেন ২০ থেকে ৪০-এর মধ্যের তরুণ-তরুণীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৪
Share:

হৃদ‌্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে কম বয়সেই সতর্ক হোন। ছবি: শাটারস্টক

কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ, বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের কারণে প্রতি নিয়ত প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বয়সেই ভারতীয়দের মধ্যে হৃদ্‌রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ বছরেরও কম বয়সি ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে চিকিৎসক মহলে। জিনগত কারণে বা জন্মগত ভাবে হার্টের অসুখ রয়েছে এমন মানুষ ছাড়া, যাঁদের পরে কোনও কারণে হার্টের অসুখ ধরছে, তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছেন ২০ থেকে ৪০-এর মধ্যের তরুণ-তরুণীরা। মূলত জীবনধারায় অনিয়মই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের সে ভাবে লক্ষণ কিছু হয় না। বুকে চাপ লাগা, ব্যথা এগুলো থাকে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে। অনেক সময় রোগা হলেও অল্প পরিশ্রম বা হাঁটাহাঁটিতে হাঁপ ধরে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সে সব কিছুই হয় না। হঠাৎই তীব্র ব্যথা শুরু হয়। তবু রোগের ধরন ও রোগীর অবস্থা বিচার করে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, দুশ্চিন্তা, হজমের একটানা গোলমাল, শ্বাসে দুর্গন্ধ, কম ঘুম ইত্যাদিকে হার্টের দুর্বলতার লক্ষণ বলে ধরা হয়।

কী ভাবে ঠেকাবেন এই রোগ?

Advertisement

কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণগুলিকে পরিবর্তনযোগ্য এবং অ-পরিবর্তনযোগ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। অ-পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণ হল বয়স, লিঙ্গ, জেনেটিক গঠন এবং পারিবারিক ইতিহাস। পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ধূমপান, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতা, জীবনধারায় ব্যাপক অনিয়ম এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে চিহ্নিত করা হয়।

বাড়তি ওজন, শরীরের আনাচে-কানাচে অতিরিক্ত মেদও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। ছবি: সংগৃহীত।

১) হৃদয় সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা ভীষণ জরুরি। ডায়েটে উচ্চ ফাইবার এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার যেমন শাকসব্জি, ফল, মটরশুটি, মাছ, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, গোটা শস্য, অলিভ অয়েলের মতো খাবার রাখতে হবে। রান্নায় নুন ও চিনির ব্যবহার কম করতে হবে। অ্যালকোহল, রেড মিট, চর্বিযুক্ত খাবার এবং ভাজাভুজি যত কণ খাওয়া যায় ততই ভাল। ধূমপানেও লাগাম টানতে হবে।

২) বাড়তি ওজন, শরীরের আনাচে-কানাচে অতিরিক্ত মেদও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। এই রোগের ঝুঁকি এড়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। এর জন্য নিয়ম করে শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি করতে হবে।

৩) সারা দিন ব্যায়াম, ডায়েট, ধূমপানহীন জীবন না হয় কাটালেন, কিন্তু তার পরে দিনের শেষে ঘুমোচ্ছেন কত ক্ষণ? শারীরিক কলকব্জাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিলে কিন্তু হার্টের অসুখকে রুখতে পারবেন না। আট ঘণ্টা ঘুম প্রতি দিন সম্ভব না হলে, অন্তত ছ’-সাত ঘণ্টা বরাদ্দ রাখুন ঘুমের জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement