খাওয়ার সময়ে মাস্ক কোথায় থাকছে? ছবি: সংগৃহীত
করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হলে মাস্ক ছাড়া গতি নেই। ভাইরাস যত রূপ বদলাচ্ছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে যে টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরও মাস্ক পরা থেকে এখনই রেহাই পাওয়া মুশকিল। তবে মাঝেমাঝেই দেখা যায় নিয়ম মেনে মাস্ক পরলেও সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে, সেই প্রশ্ন অনেকের মনেই দেখা দিচ্ছে। অনেক চিকিৎসক এ বিষয়ে জানিয়েছেন, শুধু মাস্ক পরলেই চলবে না, মানতে হবে সঠিক পদ্ধতি। অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। কখনও মাস্ক থাকে নাকের নীচে, কখনও তা চিবুকের নীচে ঝোলে। এ ভাবে মাস্ক পরলে যে কোনও লাভ হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বহু চিকিৎসক। তবে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ঠিকমতো মাস্ক পরেই সারা দিন কাটাচ্ছেন, তাঁরাও কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। কেন এমন হয়?
কখন মাস্ক ফেলে দেওয়া উচিত ছবি: সংগৃহীত
এর উত্তরটা এমন কিছু কঠিন নয়। সারা দিনে যাঁরা বাইরে থাকছেন কিংবা অফিস করছেন, তাঁরাও অনেক বার মাস্ক খুলে রাখছেন। কখনও চা খাওয়ার জন্য, কখনও জল খাওয়ার জন্য আবার কখনও দুপুরের খাবার বা টিফিন করার জন্য। সে সময়ে মাস্ক খোলার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কিন্তু খোলার আগে হাত স্যানিটাইজ করার কথা অনেকেরই মনে থাকে না। তেমনই খোলার পর মাস্ক কোথায় রাখছেন তা-ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাস্ক খুলে ব্যাগের মধ্যে বা পকেটের ভিতর রেখে দেওয়া ঠিক নয়। বরং একটি জিপ লক ব্যাগে রাখতে পারলে ভাল হয়। ধুলোময়লা বা অন্য জীবাণু যেমন এতে কম শরীরে যাবে, তেমনই এড়িয়ে চলা যাবে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কাও।
কখন মাস্ক ফেলে দেওয়া উচিত
কাপড়ের মাস্ক অনেকেই এত দিন ব্যবহার করতেন। সেগুলি মোটামুটি ধুয়ে ফের ব্যবহার করা যেত। কিন্তু ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কাপড়ের মাস্ক যে খুব একটা কার্যকর নয়, তা এত দিনে জানিয়ে দিয়েছেন অনেক গবেষক। তাই এন৯৫ মাস্কের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিকল্প হিসাবে অনেকে সার্জিক্যাল মাস্কও পরেন। সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের কিছু সহজ নিয়ম আছে। ভিজে গেলে ফেলে দিতে হবে। তা না হলে টানা আট ঘণ্টা ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে। ফেলার সময়ে সব মাস্ক এক জায়গায় করে একটি আলাদা প্যাকেটে ভরে ফেলতে হবে।