স্বাস্থ্যকর চেনা খাবারও আপনার জন্য হতে পারে বিষ। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের খেয়াল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ওজন কমানো থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ছা়ড়া উপায় নেই। কিন্তু অনেক সময় চেনা স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবার। সেগুলি কী কী?
টম্যাটো
অতি পরিচিত একটি সব্জি। পাতলা মাছের ঝোল কিংবা মাংস— টম্যাটো না দিলে যেন রান্নার স্বাদই ফেরে না। টম্যাটোর স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কিন্তু টম্যাটোতে রয়েছে গ্লাইকোলয়েড নামক রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদান মানসিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই সব রান্নায় টম্যাটো না দেওয়াই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাঠবাদাম
সকালে উঠে অনেকেই ভেজানো কাঠবাদাম খান। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই বাদামের উপকারিতা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তবে কোনও কিছুই বেশি করে খাওয়া ভাল নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে সায়ানাইডের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। বেশি কাঠবাদাম খেলে শরীরের অন্দরে মারাত্মক কোনও রোগের জন্ম নিতে পারে।
আলু
রোজের রান্নায় আলু ব্যবহার চলতেই থাকে। আলু ভাজা থেকে বিরিয়ানির আলু— আলু দিয়ে তৈরি যেকোনও রান্না কমবেশি সকলের প্রিয়। শাকসব্জির মধ্যে আলুর জনপ্রিয়তা কম নয়। এই সব্জির স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। তবে আলু খাওয়ার সময়ে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সাদা শিস ওঠা এবং কয়েক জায়গায় সবুজের আভা রয়েছে, এমন আলুতে সোলানাইন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। যেগুলি ক্যানসারের মতো মারণরোগের জন্ম দিতেও পারে।
চেরি
লাল, টকমিষ্টি স্বাদের চেরি ফল নিঃসন্দেহে স্বাদের যত্ন নেয়। চেরি দিয়ে তৈরি নানা স্মুদি শরীরের যত্ন নেয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, চেরি ফলে হাইড্রোজেন সায়ানাইড বেশি পরিমাণে থাকে। যা শারীরিক অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। আপেল এবং আঙুরের বীজেও এই রাসায়নিক উপাদানটি থাকে।