জিরে ভেজানো জল। ছবি: সংগৃহীত।
আমিষ রান্নায কিংবা নিরামিষে জিরে ফোড়ন দিলে খাবারে একটা আলাদা স্বাদ এবং গন্ধ আসে। কষা মাংস, পনিরের তরকারি কিংবা ডিমের ডালনা— কষানোর সময় একটু জিরে গুঁড়ো ছ়ড়িয়ে দিলেও খেতে বেশ লাগে। তবে খাবারে স্বাদ আনা ছাড়াও জিরে কিন্তু শরীরেরও খেয়াল রাখে। বিশেষ করে জিরে ভেজানো জল হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে বিপাক হারও বা়ড়িয়ে তোলে। ভিটামিন এ, ই, বি-সহ থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মতো বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে জিরেতে। এ ছাড়াও রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ়, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো যৌগ। তাই শুধু রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতেই নয়, শরীর ভাল রাখতেও জিরে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই মশলা শরীরের কী কী উপকার করে?
১. হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে জিরে। লাইপেজ়, অ্যামাইলেজ় এবং প্রোটিজের মতো উৎসেচক চর্বি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জিরে এই সব উৎসেচকের উৎপাদনের হার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিরে যেমন বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমন দেহের অতিরিক্ত চর্বি অক্সিডাইজ়েশনের মাধ্যমে শক্তিতে পরিণত করে। ফলে ওজনের উপর তার প্রভাব লক্ষ করা যায়।
৩. রক্তে গ্লুকোজ়ের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন হরমোন। এই উপাদানটির মাত্রা হেরফের হলেই রক্তে শর্করার পরিমাণে বেড়ে বা কমে যেতে পারে। জিরেতে রয়েছে ‘কিউমিনালডিহাইড’, যা ইনসুলিনের উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। তাই পরিমিত পরিমাণে জিরে খাওয়া ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্যও ভাল।