লবঙ্গ খেলে ডায়াবিটিস কমে? ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যরাতে হঠাৎ দাঁতে ব্যথা কিংবা খুসখুসে কাশির দাপটে ঘুমোতে না পারলে অনেক সময়ে মুখে লবঙ্গ রাখতে হয়। আয়ুর্বেদ বলছে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু লবঙ্গ বেশ কাজের। নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারলে রক্তে গ্লুকোজ় শোষণের গতি শ্লথ হয়। তবে এক দিন খেয়েই যদি উপকার পাওয়ার আশা করেন, তা হলে মুশকিল।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, সেই সঙ্গে ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো খনিজ। এ ছাড়া রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ইনসুলিন হরমোনের উপর পরোক্ষ ভাবে হলেও প্রভাব ফেলে।
কী ভাবে খেতে হবে লবঙ্গ?
রাতে ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস জলে ৮ থেকে ১০টি লবঙ্গ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পরের দিন সকালে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে খালি পেটে সেই জল খেয়ে নিন। এই টোটকা টানা তিন মাস খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করে আয়ুর্বেদ।
এ ছাড়া আর শরীরের কী কী উপকার করে লবঙ্গ?
১) মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর একটি উপায় হল লবঙ্গ। অনেক সময় দু'বেলা দাঁত মেজেও দুর্গন্ধ যেতে চায় না। ব্যাক্টেরিয়ার কারণেই মূলত এই দুর্গন্ধ হয়। তবে মুখে লবঙ্গ রাখলে সেই সমস্যা আর হবে না।
২) হজমের গোলমাল হলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খাবেন না। বরং, মুখে রাখুন লবঙ্গ। কয়েক মুহূর্তে স্বস্তি পাবেন। শুধু হজমের সমস্যার সমাধানে নয়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও লবঙ্গ দারুণ উপকারী। দিনে একটা লবঙ্গ মুখে রাখলেও উপকার পাবেন।
লিভার সুস্থ রাখতে লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
৩) লিভার সুস্থ রাখতেও লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ লবঙ্গের গুণে ভাল থাকে লিভার। হজমের গোলমাল ঠেকাতে যে হেতু পারদর্শী লবঙ্গ, তাই লিভারের খেয়াল রাখতেও চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন লবঙ্গের উপর।
৪) লবঙ্গ পেশির ব্যথা, যন্ত্রণা তাড়াতেও ওষুধের মতো কাজ করে। হাঁটুর ব্যথায় কাতর অনেকেই। বসলে উঠতে পারেন না, উঠলে আবার বসা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। এমন সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, লবঙ্গ মুখে রাখলে তাঁরা কিন্তু অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।
৫) শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা রক্ষায় লবঙ্গ কার্যকর। ভিতর থেকে ফিট থাকতে লবঙ্গ সত্যিই উপকারী। সারা দিনে যদি একটা লবঙ্গও চিবোতে থাকেন, তা হলে অনেক সুফল পাবেন।