ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশ জুড়ে বেড়েছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। ছবি: শাটারস্টক।
ফ্লু-র উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গুজরাতের বরোদায় মৃত্যু হল ৫৮ বছর বয়সি এক মহিলার। বরোদার এক সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি আদৌ এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা যাচাই করার জন্য মৃতের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মৃত মহিলা বরোদাক ফতেঃগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশ জুড়ে বেড়েছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগী এখন ঘরে ঘরে। জ্বর সারলেও কাশি, গলা খুসখুস থেকে যাচ্ছে মাস খানেকেরও বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের উপরূপ এইচ৩এন২-এ আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। গুজরাতের মহিলার রক্তের নমুনাতেও যদি এইচ৩এন২ ভাইরাস পাওয়া যায়, তা হলে দেশে এইচ৩এন২-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ওই মহিলাকে ১১ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ১৩ মার্চ উনি মারা যান। হাসপাতালে রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) বলেন, ‘‘ওই মহিলার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। একটা রিভিউ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিই মহিলার মৃত্যুর কারণ তদন্ত করবে।’’ সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ মার্চ পর্যন্ত গুজরাতে মাত্র তিন জন এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ মার্চ পর্যন্ত গুজরাতে মাত্র তিন জন এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ছবি: প্রতীকী।
জ্বরের পাশাপাশি, এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে। এমন কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকরা সতর্ক হতে বলছেন বার বার। বিশেষ করে শিশুরা এবং বয়স্ক ব্যক্তি যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে, তাঁদের বাড়তি সতর্কতা থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।