শুধু ফল কিংবা শাকসব্জি নয়, বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য, দুগ্ধজাতীয় খাবার সব কিছুর গুণাগুণই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে খাদ্য নির্দেশিকায়। ছবি: সংগৃহীত
আপনি কি আপনার বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত? ওজন ঝরাতে কী খাবেন আর কী খাবেন না— তা ভেবেই হয়রান! ভাবছেন, একজন পুষ্টবিদের পরামর্শ নিলে কেমন হয়? আপনার মুশকিল আসান করতে এ বার এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধীন শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। হায়দরাবাদের ‘ন্যাশলাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন’ (এনআইএন) খাদ্য সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা প্রস্তুত করেছে যা সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদান করবে। শুধু ফল কিংবা শাকসব্জি নয়, বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য, দুগ্ধজাতীয় খাবার সব কিছুর গুণাগুণই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেই খাদ্য নির্দেশিকায়।
নির্দেশিকাটি বানানো হয়েছে খুব সহজ সরল ভাষায় যা সাধারণের বুঝতে অসুবিধা হবে না। এনআইএন-এর ডিরেক্টর আর হেমালতা জানিয়েছেন, ‘‘গবেষকরা ১৬ টি তালিকা প্রস্তুত করেছেন বিভিন্ন বয়েসের ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে। তালিকায় ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুদের স্তনদুগ্ধ পান করাচ্ছেন এমন মহিলারা কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের গায়ে যে লেবেলিং করা থাকে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। গবেষকরা তাঁদের নির্দেশিকায় সেই বিষয়েও আলোকপাত করেছেন।’’
প্রতীকী ছবি
গবেষকরা যে প্রাথমিক তালিকাটি প্রস্তুত করেছেন এই সপ্তাহের মধ্যেই তা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে জমা পড়বে। সূত্রের খবর, এই নির্দেশিকাটি এক বার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে গেলেই এই বছরের শেষেই প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং এই নির্দেশিকাটি জণগণের সামনে নিয়ে আসবেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাওয়া হয় এমন ৫৬০ রকম খাদ্যের নমুনা নিয়ে ১৪০ টি পুষ্টিগুণের উপর নির্ভর করেই নির্দেশিকাটি বানানো হয়েছে।
এনআইএন, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে এই নির্দেশিকাটি কী ভাবে নেটমাধ্যমে প্রচার করা হবে সেই নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।