অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমান। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের আয়রনের ঘাটতি মহিলাদের অন্যতম একটি সমস্যা। রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে লোহিত কণিকার উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই ক্লান্তি, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, মাথা ধরার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণে শরীরে যাতে আয়রনের পরিমাণে ঘাটতি না তৈরি হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে আয়রনের ওষুধ খান। তবে বেশি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া আবার শরীরের জন্য ভাল নয়। বরং আয়রন আছে এমন কিছু ফল খেতে পারেন। তাতে দু’দিক থেকে সুফল পাবে শরীর।
তরমুজ
প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে রয়েছে ০.৪ মিলিগ্রাম আয়রন। শরীরে দৈনিক আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য যা যথেষ্ট নয়। তবে মাঝেমাঝে যদি তরমুজ খাওয়া যায়, তা হলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হবে না।
বেদানা
১০০ গ্রাম বেদানায় আয়রনের পরিমাণ ০.৩ গ্রাম। রক্তাল্পতার রোগীদের জন্য বেদানা ভীষণ উপকারী। নিয়মিত বেদানা খেলে আয়রনের অভাব অনেকটাই পূরণ হবে। আয়রন ছাড়াও বেদানায় রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরের সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্য করে।
খেজুর
শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে খেজুর খুবই উপকারী। খেজুরে আয়রনের পরিমাণ বেদানা এবং তরমুজের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ১০০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে প্রায় ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝে মুখ চালাতে খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
আপেল
আপেলেও আয়রনের পরিমাণ নেহাত কম নয়। ১০০ গ্রাম আপেলে আয়রনের পরিমাণ ০.৫ মিলিগ্রাম। বাড়ন্ত বয়সে শিশুকে আপেল খাওয়ালে শরীরে আয়রনের অভাব ঘটবে না। রক্তাল্পতা থাকলে বড়রাও খেতে পারেন এই ফল। রোজ একটি করে আপেল খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে।