খাবার খেয়ে কাঁপুনি হচ্ছে? এ কেমন অদ্ভুত কথা! ছবি: সংগৃহীত
শীতের হাওয়ায় কাঁপন লাগাটা খুবই স্বাভাবিক এবং পরিচিত একটি বিষয়। কিন্তু খাবার খেয়ে কাঁপুনি হচ্ছে? এ কেমন অদ্ভুত কথা! শীতকালে সোয়েটার পরে আইসক্রিম খাওয়ার সময়ে এই রকম একটি অনুভূতি হয় বটে, তবে সেটি তো আইসক্রিম। বরফের ঠান্ডা জিনিস। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু খাবারদাবার খাওয়ার পরেও এই রকম একটা শীত শীত অনুভূতি হয়।
খাবারের সঙ্গে কি তবে শরীরের তাপমাত্রার কোনও যোগসূত্র আছে?
হ্যাঁ, আছে। প্রতিদিন যে খাবার খাওয়া হয়, তা শরীরের তাপমাত্রার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে হজম প্রক্রিয়ার সময়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে পরিবর্তিত হয়। হজমের সময়ে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া শরীরের মধ্যে ঘটে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে সামান্য বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু যদি আপনি গরম খাবার খাওয়ার পরেও শীত শীত অনুভব করেন, তাহলে এটি কিন্তু স্বাভাবিক কোনও বিষয় নয়। চিকিৎসকদের মতে, আপনার খাদ্যাভ্যাস আপনার শরীরের এই রকম ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। এটা প্রাথমিক ভাবে মামুলি সমস্যা মনে হলেও পরবর্তীকালে আশঙ্কাজনক হতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
কোন কারণগুলির জন্য হতে পারে এমন?
কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেলে
পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে শক্তি উৎপাদন ও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেলে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকে। সেই সঙ্গে অপর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
উপোস করে থাকলে
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে এবং শরীরকে চাপের মধ্যে রাখে। ফলে ঠান্ডা অনুভূত হয়।
রক্তাল্পতা থাকলে
অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা শরীরে অক্সিজেনের অভাবের কারণে খাওয়ার পরেও ঠান্ডাঅনুভব করেন।
হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে
থাইরয়েড হরমোন পরিপাক ক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে। যার ফলে শরীর যে তাপ উৎপন্ন করে, তা হ্রাস পায়। এই জন্য খাওয়ার পরে ঠান্ডা লাগতে পারে।
ডায়াবিটিস থাকলে
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস থাকলে খাবার খাওয়ার পরে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা দেখা যায়।