বিয়ার খেলে শরীরে এক ধরনের উৎসেচক তৈরি হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব-উদ্যাপন হোক কিংবা সারা সপ্তাহের ক্লান্তি কাটাতে, ঠান্ডা বিয়ারের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। গরমের দিন হলে তো কথাই নেই। বিয়ারে চুমুক দিয়েই অনেকে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। মদ্যপান শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বিয়ারে অ্যালকোহলের পরিমাণ অনেক কম। ‘দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ ইন হেলথ টেকনোলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস’ নামক সংস্থার মতে, বিয়ার নাকি অন্ত্রের জন্য উপকারী এবং এর দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রয়েছে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত বিয়ার খেলে অন্ত্রে জমে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিয়ার খেলে শরীরে এক ধরনের উৎসেচক তৈরি হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি বিয়ারের সঙ্গে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেগুলি কী?
মশলাদার খাবার
বিয়ারের সঙ্গে ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। ঠান্ডা বিয়ারের সঙ্গে ঝাল, ঝাল খাবার খাওয়ার অনুভূতি আলাদা। বেশি তেলমশলাদার খাবার বিয়ারের সঙ্গে খাওয়ার অভ্যাসে পেটের নানা গোলমাল দেখা দিতে পারে।
টকজাতীয় ফল
কমলালেবু, আমলকি এবং অন্যান্য সাইট্রাস জাতীয় ফল কখনও বিয়ারের সঙ্গে খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ এই ধরনের ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। আবার বিয়ারেও অ্যাসিড উপাদান রয়েছে। ফলে দু’টি একসঙ্গে খেলে অম্বল, বদহজম হতে পারে।
বিয়ারের সঙ্গে চকোলেট খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। ছবি: সংগৃহীত।
চকোলেট
বিয়ারের সঙ্গে চকোলেট খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। দু’টি একসঙ্গে খেতে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু এতে পেটের নানা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যাঁদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই দু’টি খাবার একসঙ্গে খেলে বিপদ হতে পারে।
নুনজাতীয় খাবার
পকো়ড়া, চিপ্স, চানাচুরের মতো খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি। এই ধরনের খাবার বিয়ারের সঙ্গে বেশি খাওয়া হয়। তবে নুন আর বিয়ার যদি একসঙ্গে পেটে যায়, তাহলে বমি, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে।
বাদাম
বিয়ারের সঙ্গে বাদামের আপাতদৃষ্টিতে কোনও বিরোধ নেই। বাদাম এবং বিয়ার খুবই জনপ্রিয় জুটি। কিন্তু যে বাদামগুলিতে নুনের পরিমাণ বেশি, সেগুলি বিয়ারের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে এর ফলে।