সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে, শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। প্রতীকী ছবি।
অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এ দিকে যতই সচেতন থাকুন না কেন, ওজন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। ভালমন্দ না খেয়েও বেড়ে যাচ্ছে ওজন, চুল ঝরছে অকালে, ত্বক হয়ে উঠছে জৌলুসহীন। কর্মব্যস্ত জীবনে ছোটখাটো এই শারীরিক সমস্যাগুলি আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। অথচ এই উপর্গগুলির পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েডের চোখরাঙানি। সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে, শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। থাইরয়েডের চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি, কিন্তু খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সমান্য খেয়াল রাখলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা যেতে পারে। কয়েকটি খাবার কিন্তু থাইরয়েডের রোগীদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই থাইরয়েডকে বাগে আনতে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন জেনে নিন।
১) সয়াবিন বা সয়াবিনজাত সব খাবার: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সয়াজাতীয় কোনও খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
২) বাঁধাকপি-ফুলকপি: কপির মতো যে কোনও খাবারে থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি, ব্রকোলি ও কেল পাতার মতো শাকসব্জি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলি মেপে খাওয়াই শ্রেয়।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই কফি খাবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কফি: ক্যাফিন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফিন এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। তবে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাবেন না।
৪) মিষ্টি: যে কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজত খাবার: যে খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি নুন চিনি এবং তেল থাকবেই। প্রক্রিয়াজাত খাবারেও নুন থাকে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।