Parenting Tips

সদ্যোজাতকে স্তনদুগ্ধ পান করান? নতুন মায়েরা ৫ খাবার এড়িয়ে না চললে খুদের ক্ষতি হতে পারে

এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আবার এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শিশুদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েদের না খাওয়াই উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১২:২০
Share:

শিশু স্তন্যপান করলে মায়েরা কোন ৫ খাবার ভুলেও খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।

সদ্য মা হয়েছেন? নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য কেবল মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। তবে বিভিন্ন কারণে শিশুর জন্য পর্যাপ্ত দুধের জোগান দিতে পারেন না অনেক মহিলাই। শারীরিক নানা কারণ থাকলেও, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আবার এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শিশুদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েদের না খাওয়াই উচিত। জেনে নিন, স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়েরা কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন।

Advertisement

১) পুদিনা: এমন কিছু ভেষজও আছে, যার প্রভাবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এই ধরনের ভেষজকে বলা হয় ‘অ্যান্টি-গ্যালাক্টোগ্‌স’। পুদিনা সেই গোত্রের একটি ভেষজ। নতুন মায়েদের জন্য পুদিনা পাতা আছে এমন কোনও খাবার, লজেন্স না খাওয়াই ভাল। পার্সলে খেলেও ওই একই সমস্যা হতে পারে।

২) কফি: মায়েদের যদি কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার প্রভাব কিন্তু পড়বে শিশুর ঘুমের উপর। চিকিৎসকদের মতে, কফিতে থাকা ক্যাফিন, মায়ের দুধের মাধ্যমে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে ওর ঘুমের সমস্যা হতে পারে। সদ্যোজাতটির হজমের সমস্যাও হতে পারে। তাই শিশুর জন্মের পর কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

৩) ফুলকপি, বাঁধাকপি: যে সব খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়, নতুন মায়েরা সেগুলি এড়িয়ে চলুন। এতে কেবল আপনার গ্যাসের সমস্যা বাড়বে না, খুদেরও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাবে। তাই রোজের ডায়েটে মুলো, ফুলকপি, বাঁধাকপি না রাখাই ভাল।

৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার: স্তন্যপানের সময় পুষ্টিবিদেরা পুষ্টিকর খাওয়ার খেতে বলেন। এই সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সসেজ, নাগেট্‌স, সালামি না খাওয়াই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মায়ের খাদ্যাভ্যাস পরবর্তীকালে শিশুর খাদ্যাভ্যাসেও প্রভাব ফেলে। প্রক্রিয়াজাত খাবার চিনি, নুন ও রাসায়নিক যৌগ মেশানো থাকে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়।

৫) মদ্যপান ও ধূমপান: এই সময়ে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতেই হবে। কারণ, মদ্যপান করলে মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ কমে যায়। সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী দুধ উৎপন্ন না হলে, কখনওই শিশুর পেট ভর্তি হবে না। সারা ক্ষণ তার মেজাজ বিগড়ে থাকবে। এ ছাড়া, নিকোটিন আছে এমন কোনও জিনিসই খাবেন না। প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে ধূমপানের প্রভাব পড়বে সন্তানের স্বাস্থ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement