খাবার ঠান্ডা হলেও শরীর গরম হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুম হলেও অস্বস্তি বজায় আছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে মাঝেমাঝে আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও গুমোট ভাবটা এখনও কাটেনি। গ্রীষ্মের মতো তাপপ্রবাহ না থাকলেও বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। অগত্যা স্বস্তি পেতে অনেকেই তাই চুমুক দিচ্ছেন নানা রকম ঠান্ডা পানীয়ে। তাতে সাময়িক ভাবে শান্তি পাওয়া গেলেও আদতে ঠান্ডা মনে হওয়া খাবারগুলি শরীর আরও গরম করে দেয়। কোন খাবারগুলি খেলে শরীর আরও গরম হয়ে যেতে পারে?
অত্যধিক টক দই শরীর ভিতর থেকে গরম করে তোলে। ছবি: সংগৃহীত।
পাতিলেবু
পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি, বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।
ফ্রিজের ঠান্ডা জল
বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা জল খেয়ে নিলেন। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন এতে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা জল শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।
টক দই
পাতে যে খাবারই থাক, টক দই খেতে ভোলেন না বাঙালি। সারা বছরই অনেকে শেষপাতে টক দই খান। তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্র অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীর ভিতর থেকে গরম করে তোলে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই উপকারী হলেও বেশি টক দই না খাওয়াই ভাল।
আইসক্রিম
সাময়িক স্বস্তি পেতে আইসক্রিম অনেকেরই প্রথম পছন্দ। তবে আইসক্রিমে চিনি এবং ফ্যাট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই দুটো শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। দুটোই শরীর ভিতর থেকে গরম করে তোলে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি থাকে। তাই বেশি আইসক্রিম না খাওয়াই ভাল।