কোন খাবারে জলশূন্যতা তৈরি হয় শরীরে? ছবি: সংগৃহীত।
শরৎকাল হলেও গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। রোদের তীব্রতা না থাকলেও বাইরে থেকে ফিরলেই অস্বস্তি হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড পরিমাণে ঘামও হচ্ছে। ঘাম হলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে দু্র্বল লাগে। তাই বেশি করে জল খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। জল না খেলে যেমন শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়, তেমনই কয়েকটি খাবার আছে, যেগুলি শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
লেবুর রস
লেবুর রসের উপকারিতা থাকলেও প্রতি দিন বেশি পরিমাণে এই রস পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীর জলশূন্য হয়ে পড়লে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমকালে বেশি লেবুর রস না খাওয়াই শ্রেয়।
কফি
কফিতে চুমুক দিলে ক্লান্তি কাটে ঠিকই। তবে মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে মাথাব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায় কফি খেলে। দিনে অন্তত ১১০ মিলিগ্রামের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়।
লবণাক্ত খাবার
উচ্চমাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কারণ নুন জল শোষণ করে বেশি। ফলে জল বেশি করে খেলেও লবণাক্ত খাবার জল শোষণ করে নেয়। স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে।
ডোবা তেলে ভাজা খাবার
বেশি ভাজাভুজি খাওয়া মানেই শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকা। ডোবা তেলে ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী নয়। এ ধরনের খাবার শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। জল বেশি মাত্রায় শোষণ করে নেয়। ফলে আর্দ্রতা হারাতে থাকে শরীর।